সজীব আহমেদ, কিশোরগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ঘুরে।। দেশের সীমা ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বে গমন করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পাসপোর্ট। আর এই ‘সোনার হরিণ’ হাতে পেতে একজন নাগরিককে পার হতে হয় অনেক কঠিন পথ। পদে পদে ভোগান্তি পেরিয়ে সাধারণ নাগরিকের কাছে একটি সবুজ পাসপোর্ট পাওয়া হয়ে ওঠে একটি ইতিহাস।
কিশোরগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন স্তরে ঘুড়ে দেখা গেছে পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ নাগরিকদের দুর্ভোগ, হয়রাণি আর ভোগান্তির নানা চিত্র। বিশেষ করে প্রতিটি পদে দালাল চক্রের আনাগোনা দেখা গেছে। পাসপোর্টের আবেদন ফরম থেকে শুরু করে সর্বশেষ জমাদান পর্যন্ত প্রতিটি ঘাট পার হওয়া যতটা সহজ, ঠিক ততটাই কঠিন। অর্থ্যাৎ মোটা অংকের টাকা গুণে দালাল ধরলে খুবই সহজ, অন্যথায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা মিলে হাজারও দুর্ভোগ পিয়াসীর।
ভুক্তভোগীরা বলেছেন, পাসপোর্ট অফিসে দালালদের চক্রে পড়ে মানুষ দিনদিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। দালাল কর্তব্যরত আনসার সদস্য আরিফুল ইসলাম এবং পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা জয়নালসহ কয়েকজন কর্মচারি মিলে গড়ে তুলেছেন এই সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন আবেদনকারীরা।
এই সিন্ডিকেটকে পাশ কাটিয়ে সহজে পাসপোর্ট পাওয়া অনেকটাই অসম্ভব। পাসপোর্ট পেতে কোন না কোনভাবে পড়তে হয় দালালদের খপ্পরে। পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা অনেকেই কর্মচারিদের দুর্ব্যবহার অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। প্রতিনিয়ত তারা দালাল চক্রের খপ্পরে অতিষ্ঠ ও প্রতারিত হচ্ছেন।