শাহাদাত হোসাইন সাদিক, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা : ‘এই হেমন্তে কাটা হবে ধান; আবার শূন্য গোলায় ডাকবে ফসলের বান’-শুকান্তের কবিতার এই পংক্তি হেমন্তের বাংলার চিরচেনা রুপ। ‘নবান্ন’ হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ। যদিও বাঙালীর ‘নবান্নের’ উৎসব শুরু হয় পহেলা অগ্রহায়ন থেকেই। তবে এখন আর অগ্রহায়ন এর দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়না। আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় হেমন্ত ঋতু শুরুর আগে থেকেই নবান্নের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুর বাতাস।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আমন ক্ষেতে হালকা শীতল বাতাসে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কোন কোন ক্ষেতে ধানের শীষ বের হয়েছে। আবার কোন কোন ক্ষেতে ধানের শীষ কাঁচা-সোনা রঙ ধরেছে। চারিদিকে ছড়াচ্ছে আমনের ঘ্রাণ।
কৃষক ও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই পুরোদমে ধানকাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত হয়েপড়বে জেলার কৃষক-কৃষাণীরা। তবে কৃষকরা আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করায় মধ্য আশ্বিন থেকে ধানকাটা মাড়াই শুরু হয়ে গেছে কোন কোন উপজেলায়। যেমন রায়পুরের উত্তর চরবংশী, দক্ষিন চরবংশী, চরআবাবিল ইউনিয়নে এবং লক্ষীপুরের রামগতি, আলেকজেন্ডার, কমলনগর-সহ কয়েকটি উপজেলায় পুরোধমে আগামজাতের রোপা আমন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ বছর লক্ষ্মীপুর ৫টি উপজেলায় ৭৩ হাজার ২শত ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রার ছেয়েও বেশী ফলন আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৬-অক্টোবর–২০১৭ইং/নোমান