মোঃ আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টার ।। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের রত্না আক্তার, স্বামী- আঃ রহমান, গ্রাম-দানাপাটুলি ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার বাড়িতে গত ২১ অক্টোবর ২০১৭ ঝড়ের রাতে ভেজা অবস্থায় এক অন্তঃসত্তা নারী আশ্রয় নেন। আশ্রয় দেয়ার পরে দেখা যায়, নারী পেটের ব্যথায় অস্থির, কথা বলতে পারছে না সঠিকভাবে। এমনকি নিজের ঠিকানাও বলতে পারেনি। এরই মধ্যে তার সন্তান বড় হতে যাচ্ছে।
রত্মা জানান, তিনি দরিদ্র হওয়ায় এই নাম না জানা নারী যথাযথ সেবা নিতে পারছেন না এবং সামাজিক চাপে তিনিও দিশেহারা। সকলে জানতে চান তার বাড়ি কোথায়, নাম কি? তার আগত সন্তানের বাবা কে হবে? কে এই নরপশু? যে প্রতিবন্ধীকে প্রেগন্যান্ট করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে, না কি তার প্রতিবন্ধী হওয়া কোন চক্রান্তের প্রতিফল।
এমন নানা প্রশ্ন মাথায় রেখে আজ ২৯ অক্টোবর ২০১৭ কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় রত্না এই নামহীন নারীকে নিয়ে উপস্থিত হন। অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার শওকত জাহান ও সাংবাদিক আশরাফ আলীর উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসা করলে, সে শুধু জুতা ও একটি জামা চায়, আর শুয়ে থাকার জন্য একটি ঘর খুঁজছিল। তাছাড়া তার মুখে আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। তাকে জানতে চাইলে ফেলফেলিয়ে হাসে, আর পায়ের জুতা আছে কি না তা জানতে চায়। এমন দিশেহারা নারীর প্রাথমিক সেবার জন্য অফিসার ইনচার্জ ৫০০ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন এবং রত্নাকে বলেন তার যত্ন নেবার জন্য। পুলিশ তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে এবং তার পেটে আগত বাচ্চার বাবা ও এই নারীর ঠিকানা খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। ফেসবুক ও সামাজিক ওয়েবসাইটে মেয়ের ছবি সহ অফিসার ইনচার্জ এর মোবাইল নম্বরটি (০১৭১৩ ৩৭৩৪৮০) দেয়া হয়। যদি কোন ব্যক্তি এই মেয়েটিকে চেনেন, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।