বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন মানহানিকর উক্তির অভিযোগের মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ এদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
মামলার অপর আসামি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবা সময়ের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মির্জা ফখরুলের পক্ষে সময় মঞ্জুর করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলাটিতে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনে আছেন।
২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার এবং শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী।’ ২ সেপ্টেম্বর তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।’
একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে জয় পাকিস্তান বলেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই।’
মামলায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনারও প্রদান করেছেন। এসব জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। ওই সকল মিথ্যা, বানোয়াট, ইতিহাস বিকৃতি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে দেশসহ বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।