মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ ফেসবুকে নিত্য নতুন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান? কেউ বলে সে নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠরত, কেউ আবার বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। কথায় কথায় আড্ডা জমে ওঠে ভালোই। আড্ডা ধীরে ধীরে বাঁক নেয় বিশেষ বন্ধুত্বে। আর বন্ধুত্ব… দাঁড়ান… এখানে একটু থামুন। আবারও সতর্কীকরণ। যখন তখন ফেসবুকে আসা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টে সাড়া দেবেন না। কে জানে কোথায় বিপদ আড়ি পেতে আছে!
সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই একটি ঘটনা। ভারতের হায়দরাবাদের বাঞ্জারা হিলস-এর ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠরত ২১ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ১৮ মাস ধরে ঠকিয়ে এসেছে প্রায় ২০০ স্কুলছাত্রীকে। একেক জনের সঙ্গে একেক রকম মেয়ের নাম করে প্রথমে বন্ধুত্ব পাতাতো আবদুল মাজিদ। বন্ধুত্ব খানিকটা গাঢ় হলে সেই সব মেয়েদের সঙ্গে সেক্স চ্যাট শুরু করত সে। আবদুলের নিশানায় থাকত সম্ভ্রান্ত পরিবারের নামী স্কুলে পড়া মেয়েরা। এমনটাই জানিয়েছেন সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ। এই সব মেয়েরা কেউ কেউ নিজেরাই নগ্ন ছবি শেয়ার করতেন আবদুলের সঙ্গে। আবার কাউকে চ্যাটের কথা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছবি আদায় করত সে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত নগ্ন ছবি না পাঠালে পুরনো ছবি পর্ন সাইটে পোস্ট করে দেওয়ার হুমকিও দিত সে। এক জনের থেকে তো ভয় দেখিয়ে ৮৬ হাজার টাকাও আদায় করে আবদুল।
আবদুলের এই হুমকিতে ভয় না পেয়ে আবদুলের শিকার এক মেয়ের মা যখন সাইবারাবাদ পুলিশের কাছে এসে রিপোর্ট লেখান, তখনই শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে শুক্রবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে আবদুল মাজিদ। তার ফোন থেকে পাওয়া গেছে অসংখ্য মেয়ের নগ্ন ছবি।
সূত্র : এই সময়