শাহাদাত হোসাইন সাদিক, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা ।। দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নভেম্বর থেকে আগামী জুন পর্যন্ত জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। ১ নভেম্বর বুধবার থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। মৎস্য বিভাগ বুধবার উপজেলা মৎস্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৎস্য বিভাগ জানায়, ‘এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এই সময়ে দেশের নদনদীতে দশ ইি র (২৫ সে.মি.) জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ কম ব্যাসের জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সময় সর্বত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। এ সময়ে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চার মাস জেলেদের জনপ্রতি ৪০ কেজি করে ৪ মাস চাল বিগত দিনে দেওয়া হয়েছে এবং আগামী দিনেও সহায়তা দেওয়া হবে।’
মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ২০০৩ সালে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় প্রতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সাত মাস জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ইলিশের প্রজনন মৌসুমে হেরফের হওয়ায় সরকার চলতি বছরের এপ্রিলে এই সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে। মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞাকালীন জাটকা ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন, বিপণন দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অনুযায়ী নয় ইি আকৃতির ইলিশ জাটকা হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথমবার কেউ এই আইন অমান্য করলে এক থেকে ছয় মাসের কারাদন্ড বা একই সঙ্গে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয়বার কেউ একই অপরাধ করলে আইনে শাস্তির পরিমাণ দ্বিগুণের বিধান রাখা হয়েছে। এ সময়ে যাঁরা জাটকা আহরণ, বিপণন, পরিবহন করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হবে। এ আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পৃক্ত থাকবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন এই আইন বাস্তবায়নের সচেতনতার সভা করে যাচ্ছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নের্তৃত্বে মোবাইল কোট অব্যাহত আছে।