শফিক কবির স্টাফ রিপোর্টার ।। কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ সিমান্তবর্তী রশিদাবাদ ও সিংরইল এর মধ্যবর্তী বারুইখালী খাল বাধ নিমার্ণ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার দুপুর বেলা খালে বাধ নির্মাণ নিয়ে বিরোধ চরম পর্যায় পৌছে।
সরেজমিনে দেখা যায় উভয় পক্ষ মাইকিং করে রণপ্রস্তুতিতে খালের পাড়ে অবস্থান নেয়। বিষয়টি আজ উপজেলা আইন শৃংখলা সভায় রশিদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ইদ্রিস মিয়া উক্ত বিরোধ নিয়ে সমাধানের প্রস্তাব তুলে ধরেন এবং উপস্থিত সকল চেয়ারম্যানগণের সম্মতিতে জেলা উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অন্যদিকে নান্দাইল উপজেলার প্রশাসনকে অবহতি করে দুজেলার প্রশাসন একসাথে মিলিত হয়ে প্রথমে সিংরইল ইউনিয়নে হরিপুর ফকিরবাড়ী মোড়ে গ্রাম্য বৈঠকে উভয় পক্ষকে মিলিত করে সমাধানের বিষয়ে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার শওকত জাহান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার লুনা, সদর উপজেল আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. আতাউর রহমান, চৌদ্দশত ইউপি চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যশোদল ইউপি চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ রাজন, রশিদাবাদ চেয়ারম্যান মো: ইদ্রিস মিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুর রহমান, নান্দাইল মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইউনুস আলী, সিংরইল ইউপি চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম সহ সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার রাজনৈতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারপর বিরোধপূর্ণ স্থানে স্বশরীরে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন পরিস্থিতি।
খালের উভয় পাড়ে দু’দল গ্রামবাসী লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রণপ্রস্তুতি অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে নান্দাইল ও কিশোরগঞ্জ পুলিশ শক্ত অবস্থান নেন, হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা করে গ্রামবাসীকে শর্তক করে দেন যে কোন প্রকার সংঘষে না জড়ায় এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করার আহবান জানান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে রশিদাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সিংরইল উপজেলা চেয়ারম্যান, দুই উপজেলা পুুলিশ ইনচার্জ, দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একত্রে দীর্ঘখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানে পৌছান।
উক্ত সমাধানে উপনীত হয়ে সন্ধার পর নান্দাইল সিংরইল ইউনিয়ন এবং পরে রশিদাবাদ ইউনিয়নের জনগনকে নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে সমাধানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে বারুইখালী খালের মূখ হতে স্লুইসগেইট পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ খালের মাঝে কোন বাধ নির্মান করা যাবে না, স্থায়ী ভাবে জাল (খরা জাল) স্থাপন করা যাবে না।
আইনশৃংখলা বাহীনির পক্ষ হতে ঘোষণা করেন যে উক্ত সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করলে প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে।