আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক।। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও গণ স্বাক্ষর কর্মসুচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে করিমগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে কিরাটন ইউনিয়নের আয়লার ফতেরগোপের সমিতি বাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন করিমগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.ইকবাল।
আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী কবি কফিল আহমেদ, কিশোরগঞ্জ যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির সভাপতি মো.রেজাউল হাবীব রেজা,বাম রাজনীতিবিদ ফরিদ উদ্দিন মুজাহিদ,করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ আবুল মনসুর লনু, তরুণ সাংবাদিক মামুন উজ্জল প্রমুখ।
করিমগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের তরুণ মুক্তিযুদ্ধের গবেষক জাহাঙ্গীর কবীর পলাশের পরিচালনায় সভায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শহিদ পরিবারের সদস্য মো.আব্দুল কাদির, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মশিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক আ. জলিল প্রমুখ।
সভায় ১২ নভেম্বর করিমগঞ্জে সংগঠিত গণ হত্যায় শহিদদের রুহের আতœার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ গণগবেষণা কেন্দ্রের ৩ টি দাবী তুলে ধরা হলে উপস্থিত সকলেই দাবীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দ্রুত তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। সভায় দাবীগুলি পাঠ করে শুনান, কিশোরগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদী।
পঠিত দাবীগুলি হলো ০১ করিমগঞ্জের স্মৃতি ৭১ ভাস্কর্যে স্থানীয় শহীদদের নাম ও স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ফলক স্থাপন, ০২ অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষককতায় স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যথাযথ সংগ্রহ,সংরক্ষণ ও চর্চা চালুকরণ, ০৩ অঞ্চল ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য সহপাঠ হিসেবে স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ বাধ্যতামুলক করণ।
পরে অতিথিবৃন্দ দাবী সমুহ বাস্তবায়নের লক্ষে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন। এ সময় একাত্তরে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক,লেখক, ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এক বার্তায় করিমগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষে দাবীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এশিয়ান পোষ্টের সম্পাদক মো.হাবিবুর রহমান বিপ্লব। তিনি করিমগঞ্জের প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা ও সংরক্ষণের জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।