মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করবে।
১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২০ সেপ্টেপম্বরের যাত্রার টিকেট বিক্রি করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান আজ বাসসকে জানান, অগ্রিম টিকেট বিক্রির ব্যাপারে সকল ব্যবস্থা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ও তদারকিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, টিকেট কালোবাজারি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জিআরপি, আরএনবি, পুলিশ, র্যাব এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি টিকেট বিক্রির সময় বাড়ানো হবে। প্রত্যেক যাত্রী ৪টি টিকেট ক্রয় করতে পারবেন এবং বিক্রিত টিকেট ফেরত নেয়া হবে না। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ১৫ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ঈদ-পূর্ব অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদের আগে তিনদিন (২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর) এবং ঈদের পরের ৭ দিন (২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে।
এ ছাড়া পবিত্র ঈদের দিন বাংলাদেশ রেলওয়ে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে।
যে সকল রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে সেগুলো হচ্ছে-ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্টেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে দুটি চাঁদপুর স্পেশাল, পার্বতীপু-ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর স্পেশাল এবং খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল ট্রেন।
যাত্রীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে অতিরিক্ত ১৩৮টি যাত্রিবাহী কোচ বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজন করবে।
এ ছাড়া পবিত্র ঈদের সময় ২৫টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে।
আগামি ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোন বিরতি (অফ ডে) থাকবে না।
এদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য বাসের টিকেট ইতোমধ্যেই বিক্রি শুরু হয়েছে।