বাজিতপুর সংবাদদাতাঃ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌর শহরের পূর্ব ভাগলপুর গ্রামের নকল মবিল ও ঔষধ ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া (৫৬) কে গত বুধবার (১ এপ্রিল) সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ গোলাম মোস্তফা ভোক্তা অধিকার আইনে (বাচ্চু মিয়াকে) জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। নকল মবিল ও ঔষধ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ভ্রাম্যমান আদালত
১২৩ লিটার নকল মবিল, ১টি পুরাতন মবিল ভর্তি ড্রাম, ৩টি খালি ড্রাম ও নকল ঔষধ জব্দ করে। এছাড়া, বাচ্চু মিয়ার ভাতিজা মোঃ শরিফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও তার ছেলে নাজমুল হোসেন (১৮)-কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নকল মবিল ও ঔষধ ব্যবসায়ী মোঃ বাচ্চু মিয়া গত ১০/১৫ বছর ধরে বাজিতপুর উপজেলার পূর্ব ভাগলপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের ৩/৪টি দোকান, দারিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ডে ৪টি দোকান ও ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ লিটার নকল ক্যাষ্ট্রল মবিল, সিআরবি ১ লিটার নকল মবিল ১৭০-২০০ টাকায় বিভিন্ন মটর সাইকেল আরোহীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। আসল ১ লিটার ক্যাষ্ট্রল মবিলের বাজার মূল্য ৪৫০ টাকা, টোটাল ১ লিটার মবিলের বাজার মূল্য ৪০০ টাকা। পূর্ব ভাগলপুর গ্রামের মটর সাইকেল আরোহী মোঃ শাহ্জাহান মিয়া গতকাল শুক্রবার (৩ এপ্রিল) জানান, নকল মবিল ও মটর সাইকেল ও সিএনজিতে ব্যবহারের ফলে অত্র উপজেলার ৭/৮ শত মটর সাইকেল ঝুকির মধ্যে পড়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, নকল মবিল সাধারণত ট্রাক্টর, লড়ি, নসিমনের মধ্যে ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু বাচ্চু মিয়া এসব নকল মবিল হুন্ডারুহি ও সিএনজিওয়াদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবহারে উৎসাহিত করে কোটি পতি বোনে গেছেন। তিনি আরও জানান বাচ্চু মিয়া নকল মবিল ছাড়াও নকল ঔষদের কারখানা তৈরি করেছে। ভ্রামমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান বাচ্চু মিয়াকে নকল ঔষধ ও নকল মবিলের বিক্রির দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়