সাহিত্য ও সংস্কৃতি ।।
“বেশ্যা’ই আমার পরিচয়” : ঘাসফুল নির্মল রায়
আমি সেচ্ছায় কারো কাছে আমার পোশাক খুলিনি
কারো ওষ্ঠে মিলাইনি নিজের ওষ্ঠ।
কাউকে কখনো বলিনি ‘ বিদায়’…
সবার ভালোবাসায় আমি উন্মুক্ত ছিলাম-
চৈতন্য আর স্বচ্ছতার মার্জিত কাঠগরায়-
আমি সর্বদা ছিলাম সাযুজ্যতায় দাঁড়িয়ে
মৃদু হাওয়ায় চুল গুলো ছাড়িয়ে।
আমার প্রয়াস ছিলনা তোমাকে ভূলানোর!
আমার মন বলেনি সহসা প্রেমের জন্যে-
কিন্তু,তবুও মন গেল সঙ্গে তোর;
নাজেহাল করে স্বপ্ন বিভোর,
তবুও আমি আমার ছেড়া ব্লাউজটি পরে নীরবে রয়েছি-
শূন্য আকাশে চোখের দৃষ্টি ফেলে;
তাল গাছটির মতো সবাইকে ছাড়িয়ে।
ঝিঝি পোকার মূর্ছনা কানে তুলে
সন্ধ্যার আধারে দীর্ঘশ্বাস ফেলে দাড়িয়ে….
হঠাৎ আবেগ ঝোকে কেঁদে উঠেছি-
চোখ রেখে মুহুর্তের স্মৃতির কোনে,
অতঃপর তোমার সাথে শয্যায় যৌবনের ঝড় তুললাম……
যদিও মূহুর্ত খানেক
তবুও তা ছিল বেদনা আর আনন্দের মধ্য দিয়ে।
লোক বলে “আমার নাকী শরীরবাধা শিকল নেই,
যে যেভাবে টানে,আমি সে ভাবেই কাছে যাই;
আর টাকার বিনিময়ে শূন্যঘরে রসমেটাই!”
এও সত্যিকার্থে ঠিক। আমি এও জানি-
আমার নগ্নতার খবর সবাই রাখে, কিন্তু আমার,
উন্মুখতার শিকল যে ছিড়েছে, তার খবর কে’ইবা রাখে!
আমি’ই কেবল সবার নজরে…
জনারণ্য বিপুল আধারে,
কিংবা সোনালী দিনের আলোতে-
সেই আমার এক পরিচয় “বেশ্যা”!
তবুও আমি দোষী স্বীকারে নিরন্তন প্রাপ্তি
কিন্তু আমি তো নগ্নতায় নাচি না!
পৃথিবীর নগ্নতা আমায় নাচায়।
আমার দোষের দায় কি?