মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি নিয়ে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল যা বাংলাদেশ পূরণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা খুব কম পেতো। কাজেই এতো শর্ত দেয়া অযৌক্তিক। আরজিএসপি ছাড়াও রফতানি বেড়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার।
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিএসপি নিয়ে আমরা বলছি- দিলে দাও, না দিলে না দাও।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৭০তম অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অবস্থিত জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে ভয়েস অব আমেরিকাকে এ সাক্ষাতকার দেন তিনি।
সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের দুটো পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এটা তাদের অবদান।
গণতন্ত্রকামী বিশ্বে শক্তিশালী ও সুসংবদ্ধ বিরোধী দল একটি অপরিহার্য অঙ্গ- এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কতটা সজাগ সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদে যারা বিরোধী দল আছে তারা যথেষ্ট গঠনমূলক কাজ করে যাচ্ছে। তারা সমালোচনা করছে, ওয়াকআউট করছে, প্রতিবাদও করছে।
আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সংসদে অসংলগ্ন কথাবার্তা, খিস্তি-খেউরের জন্য কথা কান পাতা যেতো না বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।
সাক্ষাতকারের শেষে তিনি বলেন, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ একটা বিজয়ী জাতি হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে সম্মান পেতো। সেই সম্মানটা ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ধূলায় লুটিয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলেই সেই জায়গা থেকে আবার বাংলাদেশের মানুষের সেই ভাবমূর্তিটাকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। অন্য কেউ আনবে না। এট হলো বাস্তব কথা। ইনশাল্লাহ, আরও সামনে নিয়ে যাবো।