স্পোর্টস রিপোর্ট : বাইশ গজের ক্রিজে বল হাতে একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন পাকিস্তানের হাসান আলি। তার ধারাবহিক পারফরমেন্স এরই মধ্যে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আর তার দ্ক্ষতার ফলটাও কিন্তু দারুণ। ২০১৭ সালের শুরুতে ওয়ান ডে বোলারদের তালিকায় তিনি ছিলেন ৮৬ নম্বরে, আর বছর শেষে এই পেসার এখন এক নম্বরে। এই উত্থানকে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। ২০১৭ সালটা সত্যিই ক্রিকেটবিশ্ব পেল এক নতুন তারকা।
২০১৬ অগাস্টে ডেবিউ, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শিরোনামে উঠে আসেন অখ্যাত হাসান আলি। কেরিয়ারের প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্টের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে হাসান এখন পাক ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত তারকা ক্রিকেটার।
চোখ ধাঁধানো সাফল্য পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ভারতের বিরুদ্ধে বার্মিংহ্যমে মিনি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও পরবর্তিতে কিন্তু ঠিকই ফর্ম ফিরে পান হাসান। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এটাই শুইয়ে দেন হাসান। ২৪ রান দিয়ে ডুপ্লেসিস, ডুমিনি আর পার্ণেলকে তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের থামিয়ে দেন ২১৯ রানে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে পাকিস্তান জয় পায় ১৯ রানের।
এরপর গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা আর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জ্বলে ওঠেন তরুণ বোলার। ‘ডার্ক হর্স’ হাসানের কাঁধে ভর করে ফাইনালের টিকিট পায় পাকিস্তান। দুটি ম্যাচেই তিনটি করে উইকেট পেয়েছিলেন এই ডানহাতি। ফাইনালে ফের বিস্ফোরণ। মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে তিনটি করে উইকেট ভাগ করে নেন হাসান আলি। স্কোরবোর্ড ৩৩৮ রান তুলে ভারতকে ১৫৮ তে থামিয়ে দেয় আমির-হাসান জুটি। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়ার সুবাদে টুর্নামেন্ট সেরার মুকুট উঠেছিল হাসানের মাথায়।
২০১৭ সালে ৪৫টি উইকেট পকেট পুড়েছেন এই বোলার।