সজীব আহমেদ, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ।। যদিও শৈত্য প্রবাহ চলছে সারা দেশজুড়ে। ঘন কুয়াশা আর শীতের মৌসুম প্রতিটি মানুষেরই প্রাপ্য!অবহেলা করার অবকাশ নেই কারো!তাই সে উচ্চবিত্ত্য হোক আর হোক নিম্নবিত্ত্য! সেটা যে সৃষ্টিকর্তারই দেওয়া অশেষ নিয়ামত।
তবে শীত চলে গেলে পড়ে তার প্রয়োজনীয়তা। সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য প্রযোজ্য প্রতিটি মৌসুম । কিন্তূ অনেকেরই তো এই কঠিন শৈত্য প্রবাহের, শীতের তিব্রতা ঠেকানোর কোন না কোন উপায়ন্ত থেকে যায়! দরিদ্র পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধদের কাটছে কেমনে আসলে কী ভাববার প্রয়োজন পড়ে কখনো? দেখা যায় তেমনি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার দরিদ্র পরিবারের লোকজনকে । সাথে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতেও।
উপজেলাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষেরা নানা দুর্ভোগে পড়েছে। গত কয়েক দিনের টানা শৈত্য প্রবাহ আর ঘনকুয়াশায় চরম বেকায়দায় পড়েছে দরিদ্র পরিবারের মানুষজন।
অনেকের গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে কোনমতে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। দিন-রাত ঘন কুয়াশাগুলো বৃষ্টির মত শিশির পড়েছে। মেঘনা নদীর হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে সর্বত্র। সুর্য্যের আলো মাঝে মধ্যে উঁকিঝুঁকি মারছে।
অসহনীয় শীতের কারণে শ্রম বিক্রি করতে ঘর থেকে বেরুতে পারছেন না খেটে খাওয়া দরিদ্র দিনমজুর ।
উপজেলাসহ সকল পর্যায়ে দিনের বেলাতেও মটরসাইকেল বাসসহ সকল প্রকার যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
ভৈরব উপজেলার ১২টি ওয়ার্ডসহ ইউনিয়নগুলো হচ্ছেঃ * সাদেকপুর, * শ্রীনগর, * আগানগর, * শিমুলকান্দি, * শিবপুর, * কালিকাপ্রাসাদ, * গজারিয়া ৭ টি ইউনিয়নের গ্রামগুলোর সাথে জেলা ও উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে মানুষদের চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার হাসপাতালসহ গ্রামাঞ্চলের কর্মরত চিকিৎসকেরা জানান, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত সর্দি কাশি, হাপানি, পেটের পীড়া, কোল্ড ডায়রিয়া রোগীদের ভীড় পরিলক্ষিত হয়।
রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। এদিকে তীব্র ঠান্ডা ও কুয়াশায় সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে কৃষক ও কৃষক সূত্রে জানা গেছে।
গত কয়েকদিনের শীতের কারণে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা গরম কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
আর বিত্তবান মানুষ ওই বস্ত্র কিনতে পারলেও গরীব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
কাঁদছে শিশু থেকে বৃদ্ধ শীতের তিব্রতায় দরিদ্র পরিবারের মানুষগুলো !ফুটপাথও যেন ছিন্নমূল মানুষদেরকে বিতাড়িত করল শীত বস্ত্র ক্রয় করা থেকে।
শেষ ঠিকানা মিলেছে গরিব, গরম বস্ত্র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকা দরিদ্র – ছিন্নমূল মানুষের আগুন কিংবা কাঠ, খড়কুটো জ্বালানো আগুনের বুকে। রবিবার ভোর থেকে এলাকা ঘুরে দেখা মিললো, শেষ পর্যন্ত শীত নিবারণের জন্য হয়েছে যেন দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষের আগুনই তাদের পরম বন্ধু।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,
যেটা আগামী ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বলবৎ থাকতে পারে শৈত্য প্রবাহ।
Tags: