ঝালকাঠি ।। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় শাশুড়িকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ ও তার কথিত প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ বজলুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুলসুম বেগম ও তার কথিত প্রেমিক কেফায়েত উল্লাহ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার জয়খালী গ্রামের আবুল কালাম ব্যবসার কাজে ঢাকায় থাকেন। এ সুযোগে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম প্রতিবেশী কেফায়েত উল্লাহর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি কুলসুমের শাশুড়ি রিজিয়া বেগম জেনে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল রাতে প্রেমিক কেফায়েত উল্লাহ ও পুত্রবধূ কুলসুম বেগম শ্বাসরোধে শাশুড়িকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়। পরের দিন ডোবা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর দিন ১৩ এপ্রিল নিহত রিজিয়া বেগমের মেয়ে রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে তার ভাইয়ের স্ত্রী কুলসুম বেগম ও তার কথিত প্রেমিক কেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে কাঁঠালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মমলার আসামিপক্ষের আইনজীবী মো.তরিকুল ইসলাম জানান, আসামিরা আদালতে ন্যায় বিচার পাইনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।