ডেস্ক রিপোর্ট ।। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ জানিয়েছেন, দশম সংসদের চার বছরে এ পর্যন্ত ৩৪২ কার্যদিবস হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন ২৮৪ দিন। বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন ২০৪ দিন। পাস হয়েছে ১৩১টি বিল।
সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
চিফ হুইপ জানান, বিগত নবম সংসদে ৪১৮ কার্যদিবস ছিল। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন ৩৩৬ দিন। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১০ দিন।
তিনি বলেন, এই চার বছরে সংসদ অনেক অর্জন করেছে। জাতিকে অনেক কিছু দিয়েছে। এই সংসদ নির্বাচনের পরে নিন্দুকরা অনেক কিছু বলেছিল। তারা বলেছিল, ভোটারবিহীন সংসদ, এই সংসদে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে তারা অনেক ধর্না দিয়েছে। এত কিছু পেরিয়ে আমরা সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছি, সেদিন যদি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচন না হতো তাহলে অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসত। সেজন্য নির্বাচনের পর সারা বিশ্ব আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা সিপিএর চেয়ারপারসন ও আইপিইউর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পেরেছি। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল, গণতন্ত্র আছে এবং গণতন্ত্র থাকবে বলে আমরা এই দুটি জায়গা থেকে সমর্থন পেয়েছি।
চিফ হুইপ বলেন, এই সংসদ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এই সংসদে বিরোধী দল কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তারা শুধু বিরোধিতা করেনি। বিরোধী দল সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছে। বাজেট নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা যেমন সমালোচনা করেছে আমরাও সেরকম সমালোচনা করেছি।
তিনি আরো বলেন, এই সংসদে জাতীয় পার্টির আসন ৪০টি। স্বতন্ত্র আসন ১৬টি। এই সংসদে আমাদের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে তারা কথা বলছেন। তারা সরকারের কঠিন সমালোচনা করেছেন। আমরা তার জবাব দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রত্যেকটি কথার নোট নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
চিফ হুইপ বলেন, অনেকেই পত্রিকায় লিখেন, সংসদে কোরাম হয় না। সংসদে কোরাম সব সময় থাকে।