muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণ দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট ।। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম বন্ধের পরিবর্তে উৎসাহিত করার দায়ে সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু (চট্টগ্রাম-৯)।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর উচিৎ ছিল নিজের ব্যর্থতার কথা শিকার করে পদত্যাগ করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ তাকে সরিয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দিন। মন্ত্রী যেখানে ঘুষ খেতে উৎসাহিত করছেন, তাহলে কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ন্ত্রণ করবেন, এটা আমার বোধোদয় হয় না। তাই অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী তার ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অনিয়ম স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করুন। আর তিনি তা না করলে তাকে বরখাস্ত করে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করবেন বলে আমার আশা।’

সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জিয়াউদ্দীন বাবলু এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

বাবলুর বক্তব্যের পর বৈঠকের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি শুনেছেন। তিনি তার বিবেক-বিবেচনায় জাতির স্বার্থে যতটুকু করার প্রয়োজন অবশ্যই করবেন।’

তিনি বলেন, ‘ছোটকালে আমি পড়েছিলাম নলেজ ইজ পাওয়ার। জ্ঞানই শক্তি। জ্ঞান তখনই শক্তি হবে যখন কেউ সত্যিকারের শিক্ষা নিয়ে শিক্ষিত হবে। অনেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে আমার কাছে চাকরির জন্য এসেছে। তারা বাংলা–ইংরেজিতে দরখাস্ত লিখতে পারে না। এটা হচ্ছে বর্তমান অবস্থা।’

জাতীয় পার্টির প্রাক্তন এই মহাসচিব বলেন, ‘আগামী প্রজন্মকে যদি সত্যিকার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারি, আর শুধু সনদ বিক্রির জন্য যদি শিক্ষিত করি তাহলে তো কিছুই শিখবে না। এই শিক্ষা অর্থহীন। আমরা আগামীতে কাদের হাতে দেশটা দিয়ে যাব। শিক্ষিত সমাজ ছাড়া সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারব না। আমরা চাই সত্যিকার শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী চান জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, আমরাও চাই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে, হচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই কয়েক বছরে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আপনারা ঘুষ খান সহনীয় পর্যায়ে। তিনি এও বলেছেন, আমিও ঘুষ খাই, অন্য মন্ত্রীরাও ঘুষ খান। এটা বলার পরে উনি মন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারেন না। আর একজন মন্ত্রী এ কথা বলতে পারেন? এটা যখন ছাত্ররা শুনবে মন্ত্রী বলছেন সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ খেতে, তাহলে প্রশ্নফাঁস ঠেকাবেন কীভাবে?’

বাবলু বলেন, ‘যে মন্ত্রী ঘুষ সহনীয় মাত্রায় খেতে বলেন, সেই মন্ত্রীর কথা তো কেউ শুনবেই না। তার সচিব শুনবেন না, অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শুনবেন না। কেউ শুনবেন না। তাই প্রশ্নফাঁস আজ মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বলা হয়েছিল যে, প্রশ্নফাঁস ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে। অথচ আজ একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, বলা হয়েছে- ইংরেজি প্রশ্ন আছে, সংগ্রহ করতে হলে এত টাকা লাগবে?’

Tags: