নূরুল জান্নাত মান্না, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ।। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের ছয়চির গ্রামের এক সাধারণ ঘরের সন্তান সাদিয়া। সে ছোট বেলায় যখন হাটতে শিখে তখনই দেখতে পেয়েছিল ক্রিকেট খেলার ব্যাট। কিন্তু কে ব্যাট হাতে তুলে দিয়ে ছিলো সেটা সে নিজেও জানে না। যখন সে বুঝতে পারে ব্যাট দিয়ে ক্রিকেট খেলে তখন থেকেই একটা স্বপ্ন সাঁজিয়ে নেই নিজের মতো করে। স্কুল থেকে ফিরেই ব্যাট, বল হাতে নিয়ে চলে স্কুলের মাঠে।স্কুলের মাঠে তার সাথে খেলতো ছোট বড় অনেকেই ।
বড়দের সাথেই খেলত সে, কিন্তু কখনও বলত না যে, “আমি তোমাদের সাথে খেলবো না”।সবাই ফাস্ট বলে খেলতো আর তাকে বলতো তুই পারবি না, ব্যাথা পাবি।কিন্তু কখনও সে ভয় পেয়ে পিছু হঠে যাইনি।বরং সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল তার লক্ষে পৌছার জন্য। গ্রামের অন্য কোনো মেয়েই খেলতে আসতো না মাঠে। শুধু মাত্র সেই খেলত ছেলেদের সাথে। আস্তে আস্তে এভাবেই তার খেলার জীবন শুরু হয়।বাড়ি থেকে যখন বের হতে দিতো না তাকে তখন সে মাঠে পালিয়ে আসত খেলার জন্য।এই খেলাই তাকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়। এক সময় ক্রিরাবীদ শিক্ষকের সাহায্যে বিকেএসপির ফর্ম জমা দেয় কিন্তু তার কোনো উত্তর আসেনি।এই ক্রিকেট খেলার জন্য তার মায়ের হাতে আচ্ছামত মার খেয়েছিল সে।তবুও আজও ছাড়তে পারি নাই ক্রিকেট খেলা।এখনো ব্যাট,বল, স্টাম্প হাতে খেলার মাঠে ছুটে যায়।কলেজওয়ারী খেলায় অধিনায়কত্বের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছে সে।কলেজের অধিকাংশ স্যার,ছাত্র,ছাত্রী তাকে দেখলেই ক্রিকেটার বলে তাকে সম্বোধন করায় অনেক খুশি হত সে। কিন্তু মাঝে মাঝে তার খুব কষ্ট লাগে কারণ সে ক্রিকেটার হতে না পারায় ।
শত বাধার পরেও ক্রিকেট খেলা ছাড়েনি সে।এখনও ছুটে যায় অজানা এক স্বপ্নের টানে ব্যাট,বল,স্টম্প হাতে নিয়ে সেই খেলার মাঠে।খুব ইচ্ছা করে ক্রিকেটার হতে কিন্তু আজও জানে না সে তার স্বপ্ন কোনদিন সত্যি হবে কিনা।কিন্তু এখনও হাল ছাড়ে নাই। খেলতে চায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে। সে আশা কি তার কোন দিন পূরণ হবে!
Tags: