ডেস্ক রিপোর্ট ।। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৩-৪ সেট প্রশ্ন তৈরিসহ নতুন দুই পরিবর্তন আসছে। এ বিষয়ে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভা ডাকা হয়। এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে প্রশ্ন ফাঁসের মহামারী সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে ২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার দুই সেট প্রশ্নপত্র তৈরি হলেও এবার তা বাড়িয়ে ৩-৪ সেট করা হবে। যাতে একটি বা দুটি সেট ফাঁস হলে তা বাতিল করে অন্য সেটে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়। এছাড়া প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় ডাবল প্যাকেট তৈরি করা হবে। পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে ফেললে যাতে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। উল্লেখ্য, আগে প্যাকেট সিলগালার থাকতো, এখন সিলগালার প্যাকেটের ওপর আরেকটি প্যাকেট থাকবে।
এছাড়াও পরীক্ষা শুরুর আগে দেশের সব কলেজে অভিভাবক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে বির্তক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে কী কী করণীয় সেসব বিষয় নিয়ে কলেজে বির্তক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।
অন্যদিকে, এসএসসির পরীক্ষার মতোই এইচএসসি পরীক্ষাতেও ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্র প্রবেশ বাধ্যতামূলক ও কেন্দ্রের আশপাশে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে আমাদের চরমভাবে বিপাকে পড়তে হয়েছে। এতে করে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে নানা বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এইচএসসি পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, বিগত বছরের চাইতে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন সেট বাড়ানো হবে। যাতে কোন একটি সেট ফাঁস হলেও সহজেই তা বাতিল করে অন্য সেটে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়। এসএসসি পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা বা ৩০ মিনিট আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতরণে নতুনভাবে প্যাকেটিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে পরীক্ষার আগে দেশের প্রতিটি কলেজে উভয়ের উপস্থিতিতে পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে বির্তক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে প্রতিটি কলেজে এ বির্তক অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হবে।