muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

বইমেলায় অটোগ্রাফ দিতে পারা প্রথম রোবট “রিবিট”!

বিশ্বজিৎ দাস বিজয়, (দঃ কেরানীগঞ্জ) ঢাকা ।। শিশু কিশোরদের মাঝে জনপ্রিয় এক চরিত্র “রিবিট”। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদের সৃষ্ট এই চরিত্রটি এবার বইমেলায় ভিন্ন মাত্রা পেল। কারণ এবছর “রিবিটের” আকৃতিতে কথা বলতে পারা এবং অটোগ্রাফ দিতে সক্ষম একটি রোবট এসেছে মেলায়।

রোবটটি নিমার্ণ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চার তরুণ বিজ্ঞানী। যার নেতৃত্বে ছিলেন ঈশান আরেফিন।  অন্য তিন সদস্য হলো, ইসমাইল হোসেন, মৃদুল বণিক ও ইউসুফ হোসেন।

একমাস অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা এই রোবটটি বানাতে সক্ষম হয়। রিবিটটি মেলায় আসে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে । সেদিন থেকেই আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয় রোবটটি। প্রতিদিনই অজস্র ছেলে-মেয়েরা মেলায় এসে অনিন্দ্য প্রকাশের ১৩ নাম্বার প্যাভিলিয়নে ভিড় জমায়। তারা রিবিটের সাথে কথা বলে ও অটোগ্রাফ নেয়। রিবিট তাঁর নিজের নাম লিখতে পারে। অবশ্য রিবিট কথাটি লিখতে তাঁর প্রায় তিন মিনিটের মতো লাগে। তবু রোবটের হাত থেকে অটোগ্রাফ নেওয়া বলে কথা।

প্রতিদিনই অনেক শিশুকেই দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে অটোগ্রাফ নিতে দেখা যায়। শিশুদের আগ্রহ দেখে নির্মাতারাও খুশি। নির্মাতাদের একজন ঈশান  জানায়, “এধরণের একটি কাজ করতে পেরে তারা আনন্দিত। ভবিষ্যতে তারা আরো উন্নতমানের রোবট দেশবাসীকে উপহার দিতে পারবে বলেও আশাবাদী এই তরুণ বিজ্ঞানী।”

পুরান ঢাকা থেকে স্কুলপড়ুয়া সায়মুম সাদি, নোমান, ফয়সাল, তন্ময়, মাহির মেলায় এসেছে ঘুরতে। এসে জানতে পারে রিবিটের কথা। তারা ছুটে যায় অনিন্দ্য প্রকাশে রোবট রিবিট দেখতে ।কিনে নেয় রিবিট সিরিজের বইগুলোও।
রোবট দেখতে আসা অনেক শিশুরাই উচ্ছাস প্রকাশ করেছে রিবিটকে দেখে।

রিবিটটি দেখতে এসেছিলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালও। তিনি  বলেন, “এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এধরণের নতুনত্ব বইয়ের প্রতি শিশুদের আরো বেশি আগ্রহ জন্মাবে বলে আমি মনে করি।”

জনপ্রিয় রিবিট সিরিজের লেখক মোশতাক আহমেদ মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে বলেন, ” ‘রিবিট’ ইতিমধ্যে সবার মন জয় করেছে।ভবিষ্যতে রিবিটকে আরো উন্নত করার চিন্তা আছে।”

Tags: