মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ।। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছে। গত ২ মার্চ সোয়া ২ টার দিকে উপজেলার মধুয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে উপজেলার মধুয়ারচর গ্রামের গ্রাম পুলিশ উপেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাসের কন্যা অর্চনা রানী বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার চরকপাড়া গ্রামের মৃত অমল চন্দ্র সরকারের ছেলে সুধাংশু চন্দ্র সরকাররে (২৮) নিকট হিন্দু ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী পারিবারিকভাবে বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহের পর অর্চনা রানীর স্বামী, শ্বাশুরী ও ননদ তাকে যৌতুকের জন্য ও বিভিন্ন দোষ ত্রুটি দেখিয়ে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে প্রতিনিয়তই নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে স্বামী সুধাংশু চন্দ্র সরকার, শ্বাশুরী নিয়তি সরকার ও ননদ উজ্জলা রানী সরকার মিলে অর্চনা রানীকে তাঁর বাবার বাড়ীতে নিয়ে এসে সবার সামনে মানুষিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ক্ষোভে ও দুঃখে সকলের অগোচরে ওই দিন বেলা সোয়া ২ টার দিকে বাড়ীর পাশে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেললাইনে গিয়ে ভৈরব থেকে আসা চলন্ত লোকাল ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী অর্চনা রানীর স্বামী,শ্বাশুড়ী ও ননদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ নান্নু মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় অর্চনা রানীর পিতা উপেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলার আসামী তিনজনকে আটক করে শনিবার সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অর্চনা রানীর মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।