ডেস্ক রিপোর্ট ।। সোমবার সকালে বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। পরে যোগদান কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়। কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম তাদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হলো। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে পরিচালিত উক্ত মাদরাসায় এসব কওমি আলেমগণ কওমি নেসাবের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে এ বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে সারা দেশে ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জানা গেছে, আরো ১ হাজার ১০ জন কওমি আলেম সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। খুব শিগগির তাদের দারুল আরকাম মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে তাদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় ফলাফল ঘোষণা হতে পারে। ফলাফল ঘোষণার পরপরই তাদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া ১ হাজার ১০ জন কওমি আলেমকে তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের জন্য বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সোমবার বিকেলে কর্মশালা শুরু করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে আলেমদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছেন। ১ হাজার ১০ জন কওমি আলেমকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাকরি প্রদানের ঘটনা ঐতিহাসিক। সরকার আলেমদের জন্য দাওয়াতভিত্তিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।’ তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত আলেমদের প্রকৃত ইসলামী শিক্ষা তুলে ধরার আহ্বান জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ও সিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জুবায়ের আহমদ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমান সরকার ইসলামবান্ধব সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমি সনদের যেমন স্বীকৃতি দিয়েছেন, ঠিক তেমনি সরকার তাদের কর্মসংস্থানও করছেন।’
তিনি বলেন, ‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় কওমি, আলিয়া ও সাধারণ শিক্ষা- তিনটি গ্রুপে মোট ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।’