মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে সুরক্ষাসহ মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে শৈশব থেকে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৫’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।’
শিশুরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ রূপকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, তারাই ভবিষ্যতে বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই তাদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, শিশুরা স্নেহমমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মুক্ত চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনের বিশ্বে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ব হয়ে উঠবে সুন্দর, প্রাজ্ঞ ও শান্তিময়। বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশও শিশু অধিকার সনদে অনুস্বাক্ষরকারী দেশগুলোর অন্যতম।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। সরকার জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর জীবন ও জীবকা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বৈষম্য বিলোপে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০ ও ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’। এসব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিমত্তা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৫ উদ্যাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহমমতা ও নিরাপদে বেড়ে উঠুক আজকের দিনে এই আমার একান্ত প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৫ এর সাফল্য কামনা করেন।