স্পোর্টস রিপোর্ট ।। মুশফিকুর রহীম সাধ্যের সবটুকু দিয়ে লড়লেন। কিন্তু ভারত-বধের স্বপ্ন পূরণ হলো না। নিদাহাস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটি টাইগাররা হেরেছে ১৭ রানে।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪০ রানে নেই ৩ উইকেট। এরপর দলের হালটা ধরার চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহীম। কিন্তু ১৮ বলে ২১ রানের এক জুটি গড়ে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। যুজবেন্দ্র চাহালকে তুলে মারতে গিয়ে ৮ বলে ১১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে মুশফিকুর রহিম একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন, লড়াই চালিয়ে গেছেন। ৫৫ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ওপেনার লিটন দাস এবার ফেরেন মাত্র ৭ রান করে। এরপর সৌম্য সরকারও ১ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন লিটন দাস। ৭ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৭ রান করে আউট হন ডানহাতি এই ওপেনার।
তবে সঙ্গী হারালেও ঝড় তুলতে ভয় করেননি তামিম ইকবাল। শার্দুল ঠাকুরের এক ওভারেই ১৭ রান তুলে নেন এই ওপেনার। এরমধ্যেই ওয়াশিটংটন সুন্দরের বলে ১ রানে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য।
ওয়াশিংটনের বলেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম। শট খেলতে গিয়ে বলটা গায়ে লেগে স্ট্যাম্পের বেল পড়ে যায়। ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় বাঁহাতি এই ওপেনার করেন ২৭ রান।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার ৬১ বলে ৮৯ রানের এক ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে ভারত।
বাংলাদেশি বোলাররা মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও শুরুতে উইকেট ফেলতে পারছিলেন না। ফলে উড়ন্ত সূচনাই করে ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর শেখর ধাওয়ান মিলে ৯.৪ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেন ৭০ রান।
অবশেষে এই জুটিটা ভাঙেন রুবেল হোসেন। টাইগার পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্পটাই উড়ে যায় ৩৫ রান করা শেখর ধাওয়ানের।
তবে এরপর আবারও থিতু হয়ে যায় রোহিত শর্মা আর সুরেশ রায়নার জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ১০২ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে এসে ৪৭ রান করা রায়নাকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান রুবেল। আর ইনিংসের একদম শেষ বলে রোহিতকে রানআউট করেন তিনিই।