muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী যাবেন বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় : উৎসবের আমেজ

hasina pm
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ ৬৮ বছরের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার দু’মাসের মাথায় বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে ছিটমহলে বইছে উৎসবের আমেজ। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের প্রস্তুতির পাশাপাশি উন্নয়নের নানা দাবি নিয়ে প্রস্তুত অধূনালুপ্ত ছিটমহলবাসী।
সকাল সাড়ে ৯টায় শেখ হাসিনা ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের হ্যালিপ্যাডে নেমে সড়ক পথে দাশিয়ারছড়া আসার কথা রয়েছে। সেখানে এক সুধী সমাবেশে ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন ও মুজিব-ইন্দিরা ইউনিয়ন পরিষদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সংবাদে মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক বলেন, ‘হামরা তার বাবা শেখ মুজিবের নির্দেশে যুদ্ধ করছি। তাকতো মারি ফেলাইল। তাক চোখের দেখা দেইকপ্যার পাই নাই। এলা তার বেটি শেখ হাসিনাক হামরা বাড়িত বসি থাকি দেখমো। হামারতো খুশির সীমা নাই’।
ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সেই ক্যাম্পে যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন শামসুল হক। তবে বঙ্গবন্ধুকে স্বচক্ষে দেখার ভাগ্য হয়নি তার। এবার তার কন্যাকে বাড়ির পাশেই দেখতে পাবেন বলে এভাবে উচ্ছাস প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধামন্ত্রীর আগমনের সংবাদ শুনে শামসুল হকের মতো আনন্দে আত্মহারা বিলুপ্ত দাশিয়ারছড়া ছিটমহলের সব মানুষ।
দাশিয়ারছড়ার বাসিন্দা আকিলা, ফাতেমা ও সাইদা জানান, টিভিতে তারা প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন, এবার নিজের চোখে দেখবেন। তাই তারা অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
এই এলাকার বাসিন্দা মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের ক্ষুধা একদিনে নিবারণ হবার নয়। তারপরেও প্রাথমিকভাবে কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা সরকারীকরণ, হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দাবী করবো আমরা’।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বিলুপ্ত ছিটমহলের রাস্তাঘাট পাকা ও মেরামত, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন লাইনসহ নানা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে দিন রাত। গঙ্গারহাট থেকে কালিরহাট বাজার পর্যন্ত সড়কটি পাকাকরণের কাজ চলছে। এছাড়া আশেপাশের সব রাস্তায় মাটি কেটে প্রশস্ত করা হয়েছে। ছিটমহলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য লাইন নির্মাণ ও ওয়ারিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বিটিসিএল অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে টেলিফোন ও ইন্টানেট সংযোগ দিয়েছে। ফুলবাড়ী থেকে দাশিয়ারছড়া পর্যন্ত শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তদারকি করছেন প্রস্তুতিমুলক কাজ।
গত ১ আগষ্ট ৬৮ বছরের অধিকারহীনতার পথ মাড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়েছেন ছিটমহলের মানুষ।

Tags: