মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল-কারখানায় উৎপাদনশীলতা ও কর্মদক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করার জন্য বেসরকারি খাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কল-কারখানায় উৎপাদনশীলতা এবং জনগণের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়। দেশকে আরো এগিয়ে নিতে আপনাদেরকে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকেও নজর দিতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় গণভবনে ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি)’র নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদানের চেক হস্তান্তর করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বলেন, বিএবি’র অধীনস্থ বেসরকারি খাতের ৩৪টি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা দেশকে আরো এগিয়ে নিতে সরকারের সঙ্গে এক সাথে কাজ করার জন্য বেসরকারি খাতের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বেসরকারি খাত যদি সরকারের সঙ্গে এক সাথে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেয়া কঠিন হবে না।
চেক গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অনুদানের অর্থ দুস্থ ও গরিব জনগণের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে রানা প্লাজা ও তাজরিন গার্মেন্টস কারখানায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক এবং বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের শিকারদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্বশীলতা কর্মসূচিতে আরো ব্যয় করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে মূলত সমাজের সুবিধাবঞ্চিতরাই লাভবান হবে।
শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের প্রতি আরো সংবেদনশীল হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তাঁর সরকার প্রতিবন্ধী শিশুদের কাউন্সেলিং করতে এলাকাভিত্তিক মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক হাজার কোটি টাকার শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড সম্পর্কে বলেন, এই ফান্ড থেকে সারাদেশের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি সরকারের মিড-ডে মিল (দুপুরের খাবার) কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদানের জন্য বেসরকারি খাতসহ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দেশ ‘সেঞ্চুরি’ করেছে। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ এ ধরনের অগ্রগতি অর্জন করবে কেউ তা কল্পনাও করতে পারেনি।
ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে মোট ৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য বিএবি নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে তারা বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিবেশ পদক চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ এবং আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান। এ উপলক্ষে বিএবি নেতৃবৃন্দ কেকও কাটেন।