স্পোর্টস রিপোর্ট : ভেঙে পড়লেন স্টিভ স্মিথ। মনের আবেগ আর ধরে রাখতে পারলেন না। সিডনিতে পৌঁছে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন। তিনি জানান দিলেন, তার কৃতকর্মের জন্যে তিনি দুঃখিত এবং এটা সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে।
বল টেম্পারিংয়ের অপরাধে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে ১২ মাসের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বহিঃষ্কার করেছে। মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অসি কাণ্ডারি। বললেন, নিজেকে ছাড়া দোষ দেওয়ার আর কেউ নেই।
অশ্রুসজল চোখে বললেন, আমি কাউকে দোষ দেই না। আমি অস্ট্রেলিয়া দলের কাপ্তারন। গত শনিবার যা ঘটেছে তার দিকে আমারই দৃষ্টি দেওয়ার কথা ছিল এবং তার দায়ভার আমিই নিচ্ছি।
ক্রিকেট বিশ্বের সেরা খেলা। এটা আমার জীবন ছিল এবং আশা করি আবারো তা হবে। আমি দুঃখিত এবং আমি পুরোপুরি বিধ্বস্ত, যোগ করেন স্মিথ।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, এটা থেকে যদি ভালো কিছু আসে, কেউ যদি এ থেকে শিক্ষা নেয় তবে আমি বদলে যাওয়ার শক্তি পাবো। আমি জানি এর জন্যে বাকি জীবন অনুশোচনায় ভুগতে হবে আমাকে। আমার বুকটে ফেটে গেছে। আশা করছি আমি সম্মান ও ক্ষমা অর্জন করতে পারবো।
এটা যন্ত্রণাদায়ক…আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি। আমি আপনাদের শিশুদের বিনোদন দিতে ভালোবাসি…অস্ট্রেলিয়ার জন্যে যে যন্ত্রণা আমি বয়ে এনেছি তার জন্যে দুঃখিত, বলতেই থাকেন ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ।
কেপটাউনে আলোচিত বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাস্তি হয়েছে সাবেক দলের ডেপুটি ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন বেনক্রাফটের। আইসিসি জরিমানা ও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়েছে। কিন্তু, সরকারি নির্দেশে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) আরও বড় শাস্তি দিয়েছে তিনজনকে। স্মিথ-ওয়ার্নারকে ১ বছর আর বেনক্রাফটকে ৯ মাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সাজা ঘোষণার পর সাবেক অনেক ক্রিকেট তারকারা বলছেন, অভিযুক্তদের শাস্তিটা বেশিই হয়ে গেছে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেই ক্যামেরন ক্ষমা চেয়েছেন। এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ক্ষমা চান মিডিয়ার সামনে।