শুক্রবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে তার বাড়িতে। ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। প্রতিবেশীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন বাড়ির সামনের উঠানে। দূর-দূরান্ত থেকেও দল বেঁধে উৎসুক জনতা ছুটে আসছেন তাদের বাড়িতে। আগের জীবন এবং বদলে যাওয়া জীবন নিয়ে প্রশ্নের যেন শেষ নেই মানুষের। জনতার ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারকে।
তরুণীর বাবা হাসমত আলী জানান, স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকে এসএসসি ও এইসএসসি পাস করেন মেয়ে খাদিজা খাতুন সেতু। গত বছর ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহপাঠী প্রথমে সেতুর পুরুষে রূপান্তর হওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত করেন। এর কয়েকদিন পর সেতু নিজে থেকেই বাবা-মাকে বিষয়টি জানিয়ে দেন।
সেতুর মা নাজমা খানম জানান, তিনি অনাবৃত করে দেখেছেন মেয়েকে। তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে। নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর হয়েছে সেতু। একই সঙ্গে তার জীবনযাপন ও আচরণগত পরিবর্তন এসেছে।
রূপান্তরিত খাদিজা খাতুন সেতুর নাম রাখা হয়েছে মো. সাহুল সিদ্দিকী।
নিজের রূপান্তরের বিষয়ে সাহুল সিদ্দিকী জানান, গত মার্চ মাসের ৩০ তারিখ দিবাগত রাতে ঘুম থেকে জেগে হঠান তার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। পরে বাবা-মা ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। এরপর এক অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এহিয়া কামাল জানান, হরমনের কারণে এ রকম দৈহিক পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।