দীর্ঘ চার বছর প্রেম করার পর গত বছরের ১লা আগস্ট বিয়ের পিড়িতে বসেন হৃদয় খান ও সুজানা জাফর। প্রথম দিকে তাদের সংসারে ভালোবাসার কমতি না থাকলেও ধীরে ধীরে ত্যক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন সুজানা। এর রেশ ধরে গত চার মাস ধরে এই দম্পতি আলাদা থাকছিলেন। আজ সোমবার বিকেলে একে-অপরকে তালাক দিয়ে আলাদা হয়ে গেলেন তারা।
কি এমন ঘটেছিল হৃদয়-সুজানার সংসারে যে একেবারেই বিচ্ছেদ? এর জবাব দিলেন সুজানা নিজেই। বললেন,
দেখেন হৃদয় আমাকে ভালোবাসতো অনেক আগে থেকেই। কিন্তু আমি প্রথমে সাড়া দেইনি। এরপর আমার পরিবারের লোকজন হৃদয়কে পছন্দ করলে আমি মত দেই। প্রথমদিকে ও আমাকে ভালোবাসলেও পরে দেখলাম ওর ভালোবাসা ছিল মুখে মুখে। সত্যি সত্যি ও কখনোই আমাকে ভালোবাসেনি। লোক দেখানো ভালোবাসায় আর কিছু চললেও সংসার চলে না। এছাড়া আমি স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারতাম না। আমার সব কাজে নাক গলাতো হৃদয়। আমার সব কিছুতেই বাধা ছিল ওর। এ নিয়ে ওর সঙ্গে আমার ঝগড়া ঝাটিও হতো। ওকে প্রচুর বুঝিয়েছি। চেষ্টা করেছি সংসার টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। কারণ ও আমার প্রতি কোন সম্মান দেখাতো না। আমার পরিবারকেও সম্মান করেনি। এভাবে সংসার চালানো সম্ভব ছিল না।
চার মাস আলাদা থাকা প্রসঙ্গে সুজানা বলেন, ওর সঙ্গে যখন কোনোভাবেই আমার বনিবনা হচ্ছিল না তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই যে এভাবে আর থাকা সম্ভব নয়। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে থাকা শুরু করি।
চুড়ান্ত ডিভোর্স এর সিদ্ধান্ত না নিলেই কি হতো না? এ প্রসঙ্গে সুজানা বলেন, ভেবেছিলাম দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে হয় তো সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে কিন্তু তা আর হলো কই। সবচেয়ে বড় কথা দুজন মানুষের মেন্টালিটি এক না হলে সংসার করা সম্ভব নয়। আর আমি মনে করি সংসার করার জন্য হৃদয়ের আরও ম্যাচিউরিটি দরকার।
বিচ্ছেদ হওয়ার আগে থেকেই বেশ টেনশনে ভোগছিলেন এই অভিনেত্রী। আজ চুড়ান্ত বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন সুজানা। তিনি বলেন, আগে থেকেই দুশ্চিন্তায় ঘুম হতো না। এসব টেনশনে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
সবশেষে হৃদয়ের জন্য শুভ কামনা করলেন এই অভিনেত্রী। তিনি বললেন, আমি চাই হৃদয় ভাল থাকুক, সুস্থ থাকুক। ওর জন্য সব সময় আমার শুভ কামনা থাকবে। দর্শকদের কাছে দোয়া চাই, আমিও যেন ভাল কিছু করতে পারি, ভাল থাকতে পারি।