muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

কিশোরগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম,  কিশোরগঞ্জ।। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। রবিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাজারের কাছে ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বরাটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

কুলিয়ারচরে নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল করিম, মো. শাহীন মিয়া ও লালন মিয়া। এর মধ্যে আবদুল করিম এফএইচপি নামের একটি বেসরকারি সংস্থার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ব্যবস্থাপক, শাহিন মিয়া ভৈরবের পচা সাবান কারখানার কর্মচারী ও লালন মিয়া অটোরিকশাচালক। এছাড়া আহত সবার বাড়ি জেলার বাজিতপুর উপজেলায়। অন্যদিকে পাকুন্দিয়ায় নিহত সাবিহা ইসলাম (৫) উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামের শরীফুল ইসলামের মেয়ে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে জানান, রোববার সকালে আগরপুর বাজারের কাছে বাজিতপুর থেকে ভৈরবগামী সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ ছয় আরোহী গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল করিম ও শাহিন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত  তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথে চালক লালন মিয়া মারা যান।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার, পিপিএম মমুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে জানান, দুপুরে সাবিহাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হন বাবা শরীফুল ইসলাম। তারা বরাটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় সাবিহা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এ সময় অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার  মরদেহ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘাতক বাসটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে।

Tags: