muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জে পরকিয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ প্রেমিক গ্রেফতার ।। পুলিশ সুপারের পুরস্কার

আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক ।। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক ফারুক হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ বিচারিক আদালতে গ্রেফতারকৃত প্রেমিক সিএনজি চালক কদ্দুছ আলী ও প্রেমিকা ৪ সন্তানের জননী নাহিদা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে তারা এ হত্যাকান্ডের বিবরণ দিয়েছেন।

এ ঘটনায় পুলিশকে সহায়তা করায় রবিবার দুপুরে সাগর আহমেদ সুজনকে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেছেন।

মামলার বিবরণ ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ফারুক ও শরীয়তপুর জেলার কুন্ডিরচর গ্রামের আঃ রাজ্জাকের পুত্র কদ্দুছ আলী ঢাকার জুরাইন এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন। এ সুবাদে ফারুকের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী নাহিদার সাথে কদ্দুছ পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে । এ ঘটনা টের পেয়ে স্বামী ফারুক স্ত্রী নাহিদাকে সাথে নিয়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বলিয়াদীর নিজ গ্রাম সাগরকোনায় চলে আসেন। এরই মধ্যে কদ্দুছ প্রায়ই ফারুকের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সুযোগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাজিতপুরের বলিয়াদী ইউনিয়নের সাগরকোনা গ্রামে রাতে স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী নাহিদা তার প্রেমিক কদ্দুছ আলীকে সাথে নিয়ে স্বামী মোঃ ফারুক মিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর বিষয়টি স্ত্রী নাহিদা স্বামী ফারুকের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়। ঘটনার ৪০ দিন পর ফারুকের কূলখানি অনুষ্ঠানে কদ্দুছ অংশ নেয়। কিন্ত কদ্দুছ ও নিহতের স্ত্রী নাহিদার আচরণে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হলে ফারুকের চাচাতো ভাই সাগর আহমেদ সুজন কদ্দুছকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের পুত্র নাঈম মিয়া বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ কদ্দুছ ও নাহিদাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন।

বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর নুর এর কাছে দুজনই হত্যাকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেন। এ ঘটনায় পুলিশকে সহায়তা করায় রবিবার দুপুরে সাগর আহমেদ সুজনকে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেছেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

Tags: