স্পোর্টস রিপোর্ট ।। মাশরাফি বিন মুর্তজার অপেক্ষার পালা আরো দীর্ঘ হতে যাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ মাশরাফি খেলেছিলেন গত ২৭ জানুয়ারি। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেই বাংলাদেশের ওয়ানডের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় খেলা হচ্ছে না ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে। খেলছেন না টেস্ট ক্রিকেটও। ভরসা একমাত্র ওয়ানডে ক্রিকেট।
ভেবেছিলেন জুনেই ফিরবেন বাংলাদেশের জার্সিতে। কিন্তু সেই সুযোগটাও হচ্ছে না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা। কিন্তু ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজটি হবে টি-টোয়েন্টির। জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বুধবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজটি হবে। ওরা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরাও নীতিগতভাবে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা তিনটির কথা বলেছিলাম, ওরা অনুরোধ করেছে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলতে। আমাদের ক্রিকেট অপারেশন্স এটা ঠিক করবে।’
ফলে মাশরাফিকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ২২ জুলাই গায়ানায়। পরের দুটি ওয়ানডে ২৫ ও ২৮ জুলাই।
কিন্তু ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে টি-টোয়েন্টি খেলার কারণ কী? জানতে চাইলে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের টি-টোয়েন্টি খুবই কম। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, যদিও খুব সামনে না আবার। আমাদের সামনে যে খেলা আছে, সেগুলোতে টি-টোয়েন্টি খেলাই নেই। বেশিরভাগই আছে টেস্ট ও ওয়ানডে। তাই এখন শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চাচ্ছি।’
দীর্ঘ ভ্রমণ এবং অপরিচিত কন্ডিশনের কারণে দেরাদুনে খেলতে বাংলাদেশের আপত্তি থাকলেও বোর্ড সভাপতির কথায় মনে হলো সিরিজটি সেখানেই হতে যাচ্ছে, ‘ভেন্যু দেরাদুনই ঠিক আছে এখনো। অন্যান্য যেসব ভেন্যু নিয়ে আলোচনা ছিল বেঙ্গালুরু বা মুম্বাই; সমস্যা হলো সেসব এখন ফাঁকা নেই। এই মুহূর্তে অন্য কোনো ভেন্যুর নিশ্চয়তা আমরা ওদের কাছ থেকে পাচ্ছি না। অন্তত ১৫ দিন আগেও ভেন্যু না জানানো হলে এটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। এজন্য আমরা ধরেই নিচ্ছি যে দেরাদুনেই হবে।’
অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে কোনো নতুন তথ্য দিতে পারেননি বোর্ড সভাপতি। অস্ট্রেলিয়া এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে চাচ্ছে না। বৃষ্টি এবং স্পনসর না পাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বোর্ড তাদেরকে অন্য ফরম্যাটে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের সিদ্ধান্তের জবাব এখনো দেয়নি।