মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট ।। কিশোরগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অনলাইন ভিত্তিক জনপ্রিয় পত্রিকা মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবার ও পাঠক আড্ডার উদ্যোগে পিকনিকের আয়োজন করে। শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা কন্ঠ কার্যালয় থেকে পরিবারের সদস্যদের আনন্দ যাত্রাটির শুভ উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) উপসচিব তরফদার মোঃ আক্তার জামীল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিছার আহমদ, নির্বাহী সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন আহমদ নিঝুম, বার্তা সম্পাদক আবু নোমান ভুইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক আমিনুল হক সাদী, স্টাফ রিপোর্টার শফিক কবীর, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি আশরাফ উদ্দিন, মনি আরা, মুনিরা ফরদৌস মনি, শাহরিয়ার রহমান পাভেল, ভৈরব প্রতিনিধি সজিব আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ পাঠক আড্ডার মডারেটর মাহমুদুল হাসান, সুদিপ্তা দাস, জলছবি সাংস্কৃতিক সংঘের প্রধান সমন্বয়ক সজল রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা।
পরে নুহাশ পল্লীতে গিয়ে দিনভর নানাভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পিকনিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কবর জিয়ারত করে। নুহাশ পল্লী ঢাকার অদুরে গাজীপুরে অবস্থিত বাগানবাড়ী। কার্যত এটি নুহাশ চলচিত্রের শুটিংস্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। নুহাশ পল্লীতে ঢুকে মাঠ ধরে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই হাতের বাঁ-পাশে শেফালি গাছের ছায়ায় নামাজের ঘর। এর পাশেই তিনটি পুরনো লিচুগাছ নিয়ে একটি ছোট্ট বাগান। লিচু বাগানের উত্তর পাশে জাম বাগান আর দক্ষিণে আম বাগান। ওই লিচুবাগের ছায়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হুমায়ুন আহমেদ। রাজধানীর অদূরে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক দুর্গম এলাকায় প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ নুহাশ পল্লী গড়ে তুলেছেন।
সেখানকার নানা স্থাপনা আর অসংখ্য ফলজ, বনজ গাছের পাশাপাশি তিনি বানিয়েছেন ঔষধি গাছের বাগান। সব মিলিয়ে মনের মতো করেই ছেলের নামে রাখা নুহাশ পল্লীকে এক স্বপ্নজগত করে তুলেছেন হুমায়ুন আহমেদ। তাই আড়াইশ প্রজাতির সবুজ গাছের সেই নন্দন কাননে বারবারই ছুটে গেছেন তিনি। নুহাশ পল্লীতেই হুমায়ুন আহমেদ গড়ে তুলেছেন স্যুটিং স্পট, দিঘি আর তিনটি সুদৃশ্য বাংলো। একটিতে থাকতেন আর বাকি দুটি ছিল তার শৈল্পিক চিন্তাধারার আরেক রূপ। শানবাঁধানো ঘাটের দিঘির দিকে মুখ করে বানানো বাংলোর নাম দিয়েছেন ‘ভূত বিলাস’। দুর্লভ সব ঔষধি গাছ নিয়ে যে বাগান তৈরি করা হয়েছে তার পেছনেই রূপকথার মৎস্যকন্যা আর রাক্ষস। আরো রয়েছে পদ্মপুকুর, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়োথেবড়ো সুইমিং পুল। সব মিলিয়ে এক প্রকৃতিক মনোরম পরিবেশে দর্শনার্শীদেরকে আন্দোলিত করে চলেছে নুহাশ পল্লী।