muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যার দায়ে ২জনের ফাঁসি

রাবি প্রতিনিধি ।। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকান্ডের রায় ঘোষণা হয়েছে। ২ জনকে মৃতদন্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে এই রায় ঘোষণা করেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন আখতার। মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করা হয়।

ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম ও বগুড়ার মাসকাওয়াত হোসেন সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ।

যাবজ্জীবনে দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রহমতুল্লাহ এবং খুনীদের আশ্রয়দাতা নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার নারকেলবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে রিপন আলী। তাদের মধ্যে শরিফুল পলাতক রয়েছেন। আর জামিনে ছিলেন আব্দুস সাত্তার। বাকি তিন আসামিকে দুপুরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

তবে হত্যাকান্ডের এ রায়কে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে হত্যাকান্ডের মূল হোতা ও মৃতদন্ডপ্রাপ্ত ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম এখনও পলাতক রয়েছেন। তার শাস্তি কার্যকরের বিষয় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে পরিবার। শরিফুলের বিরুদ্ধে রায়ের বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে নিহত শিক্ষকের মেয়ে রেজোয়ানা হাসিন শতভী।

নিহত শিক্ষকের মেয়ে রেজোয়ানা হাসিন শতভী আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট তবে রায়ে আদালতের মাধ্যেমে বাস্তবায়ন দেখতে চাই। তবে রায় বাস্তবায়নের বিলম্বে শাস্তির পরিমাণ কমে না যায় এ দাবি জানান তিনি।

বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই রায়ের ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল হাসান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের শাস্তি এমনই চেয়েছিলাম। আমরা সন্তুষ্ট’।

একই বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। দোষীদের সাবাইকে মৃত্যদন্ড প্রত্যাশা করেছিলাম’।

এ বিষয়ে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, শিক্ষক হত্যাকান্ডের দায়ে যে মৃতদন্ড ও যাবজ্জীবন রায় প্রকাশ করা হয়েছে তাতে আমরা সন্তুুষ্ট। তবে হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী এখনো প্রশাসনের ধরাছোয়ার বাইরে। আমরা আদালতকে অনুরোধ জানাবো কোন কুচক্রী মহলের চাপে এ রায় যেন পরিবর্তন না হয়। এবং তার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই’।

বিভাগের সভাপতি এ এফ এম মাসউদ আখতার বলেন, ‘ এ রায়ে সন্তুষ্ট তবে দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক রেজাইল করীমকে নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে দুবৃত্তরা।

Tags: