muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

লাইফ স্টাইল

নারীরা সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পুরুষদের এ ধারণা ভুল

sea girl
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, পুরুষরা নারীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে যা চিন্তা করেন, বাস্তবতা তেমনটা নয়। পুরুষরা সাধারণত ভেবে থাকেন, নারী তার সৌন্দর্য রক্ষা ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় দারুণ ব্যস্ত থাকেন। এটা এক ধরনের কল্পনা যা বিভিন্নভাবে মনে ঢুকে যায়। এখানে নারীদের বাস্তবজীবনের চিত্রটা পরিষ্কারভাবে দেখাতে চেয়েছেন টেলিগ্রাফের ওয়ান্ডার ওমেন-এর প্রদায়ক রাধিকা সাংঘানি।

অনেকেই ভাবেন, নারীদের দেহ থেকে কটু গন্ধ আসতে পারে না। অথবা তাদের দেহে ঘামের গন্ধ হতেই পারে না। অথচ একই সঙ্গে পুরুষদের মতো নারীদের দেহও নোংরা থাকতে পারে।

নারীদের সঙ্গ বলতেই যে স্বর্গীয় অনুভূতি ও ভাবনা মনে চলে আসে, তা সব সময় নাও হতে পারে। সিনেমা-নাটকের মতো নারীরা সব সময় ধবধবে সাদা সিল্কের চাদরে ঘুমিয়ে থাকেন না। একটি টুকরা চকোলেটে তারা আবেদন নিয়ে একটু একটু করে কামড় বসান না। বাস্তবজীবনে তারা দৃষ্টিকটুভাবে পুরো একটা চকোলেট মুখে পুড়ে দ্রুত খাওয়ার চেষ্টাই করেন। অনেক সময়ই কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে ক্লান্ত দেহ নিয়ে তারা দ্রুত ময়লা চাদরেই গা এলিয়ে দেন। এমনও দিন আসে যখন চোখের কাজল ও পানি এবং পিরিয়ডের রক্ত সব মিলে মিশে এক হয়ে যায়।

ইনিশিয়াল হাইজিন নামের এক প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়, সমাজের দৃষ্টিতে নারীদের সব সময় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন এক জাতি বলে মনে করা হয়। জরিপে দেখা যায়, ৮৯ শতাংশ পুরুষ নারীদের এমন চোখেই দেখেন। তারা মনে করেন, নারীরা তাদের হাত-পাসহ দেহের স্পর্শকাতর অংশগুলো পরিচ্ছন্ন রাখেন।

আরেক জরিপে বলা হয়, ৭৭ শতাংশ পুরুষ কমোডে বসার আগে তা আগে পরিষ্কার করে নেন। কিন্তু এ কাজটি করে ৫৯ শতাংশ নারী। কমোড ব্যবহারের পর তার পরিষ্কার করার তাগাদা ৫২ শতাংশ পুরুষ অনুভব করেন। কিন্তু নারীদের ৪২ শতাংশ এ কাজটি করতে সচেতন থাকেন। এ হিসেবে, নারীরা কিন্তু পুরুষদের চেয়ে বেশি নোংরা।

৮৯ শতাংশ পুরুষ বড় ধাক্কা খান যখন তারা দেখেন যে নারীরা ধবধবে দেবী নন। এমনকি এমন পুরুষও আছেন যারা জেনেছেন যে, নারীদের দেহ থেকে গোলাপের সুগন্ধ বের হয়।

এ বছরের প্রথম দিকে প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়, প্রতি ৫ জন নারীর মধ্যে ৪ জনই প্রতিদিন গোসল করেন না। এদের অনেকেই প্রতি ৩ দিনে একবার গোসল করেন। এদের দুই-তৃতীয়াংশ সকালের মেকআপ না ধুয়েই বিছানায় চলে যান।

রাধিকা লিখেছেন যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের কমোনরুমের অবস্থা বেগতিক থাকে, নারীরা হাত না ধুয়েই আপেল মুখে তোলেন, জন্মদিনের কেক মুখে দিয়ে তা কাপড়ে মোছেন এবং পরীক্ষার সময় চুল না ধুয়ে এক সপ্তাহ পার করে দেন- এসব তথ্য নাই বা জানলেন।

মেয়েদের এ ধরনের বাস্তবতা ছেলেরা মেনে নিতে পছন্দ করবেন না। তবে নারী-পুরুষ উভয়ের একটা বড় অংশ যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কিন্তু তাই বলে, নারীদের কাছ থেকে সব সময় দেবদূতের মতো আলোকিত অবয়ব আশা করা কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাই কোনো পুরুষ যদি নিজেদের নোংরা থাকার পেছনে তাদের লিঙ্গকে দায়ী করেন, তবে তার জানা দরকার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার স্বভাব লিঙ্গের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে না। এটা মানুষের এক স্বাভাবিক স্বভাব ও আচরণ যা অধিকাংশের মধ্যেই বিরাজ করতে পারে।

সূত্র : টেলিগ্রাফ

Tags: