muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

তাড়াইল

আইপিএল খেলা নিয়ে তাড়াইলে জমজমাট জুয়ার আসর

মুকুট দাস, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) ।। কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ইন্ডিয়া প্রিমিয়ার লীগ নিয়ে জমে উঠেছে জমজমাট জুয়ার আসর।এ খেলায় সম্পৃক্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে উপজেলার অধিকাংশ যুব সমাজ ও শির্ক্ষাথী।অনেকেই এখন নিজের কর্মস্হল ছেড়ে জুয়ার পেছনে ছুটছে।যার ফলে কিছু লোক অল্প দিনের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন।আবার কেউ কেউ নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছেন।

জানা যায়,জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক যুবক নানা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে।যার কারণে এলাকায় বাড়ছে নানা অপরাধ ও ছিনতাই।জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকেই নিজের সঞ্চয়কৃত টাকা জুয়ার দানে দিয়ে যাচ্ছেন।একটি বিশ্বস্ত সৃত্র বলছে,নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষিত লোকেরাও জুয়ার সঙ্গে জড়িত।বিশেষ করে কলেজের অনার্স লেভেলের শিক্ষির্থীরা এ কাজে বেশি জড়িয়ে পড়ছে।অনেকেই রাতে লেখাপড়া ছেড়ে উপজেলার বিভিন্ন জুয়ার আসরে সময় কাটাচ্ছে।এ খেলাকে এলাকার জুয়ারিরা ছদ্যনামে বাডি বলে থাকে।তাছাড়া পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা থেকেও পেশাদার জুয়াড়িরা তাড়াইলে এসে ছদ্যবেশে জুয়া খেলায় অংশ নিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চত হওয়া গেছে।

একটি সৃত্র জানায়,নামিদামি তারকারা যখন ব্যাট কিংবা বল করতে আসেন তখন প্রতি ওভার কিংবা প্রতি রানে বড় অংকের জুয়া ধরা হয়।গেইল,কোহলি,ভিলিয়ার্স,রোহিত শর্মা অথবা ডিজে ব্যাট করতে নামলে প্রতি ওভারে একটা নির্দিষ্ট একটা অঙ্কের টাকা বাজী ধরা হয়।এভাবে ভালো ব্যটসম্যান ও বোলারের ক্ষেত্রে হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার পর্যন্ত জুয়া ধরা হয়।

বোলার মোস্তাফিজ, সাকিব, নারিন, রাশিদ খান, ইমরান তাহির, মারকান্ডি, চাহাল ও বুমরাসহ অন্যান্য ভালো বোলাররা বল করতে আসলে একইভাবে জুয়া ধরা হয়। বিভিন্ন প্রদেশের ক্ষেত্রেও একইভাবে জুয়া ধরা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলা সদর বাজার,উপজেলা সদরের সাবেক বাসস্ট্যান্ড, সহিলাটি বাসস্ট্যান্ড, জয়বাংলা বাজার, তালজাঙ্গা বাজার, শিমুলহাটি বাজার,পুরুড়া বাজার, সেকান্দরনগর বাজার, জাওয়ার বাজার, বিভিন্ন দোকান, হোটেল ও বাসায় প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসে। এছাড়া আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামগঞ্জেও জুয়ার আসর ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। তবে উপজেলার সচেতন নাগরিকরা বলেছেন, প্রশাসন এবং পুলিশ আন্তরিক হলে এভাবে প্রকাশ্যে জুয়াড়িরা বসার সাহস পেত না।

এ বিষয়ে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী মিজানুজ্জামান জুয়া খেলা হয় এ কথা স্বীকার করে বলেন, এখন মোবাইলের যুগ।জুয়ারীরা মোবাইলের মাধ্যমে সাংকেতিক কথাবার্তা বলে জুয়ার টাকা বাজী রাখে। তাই এদের ধরা আমাদের পক্ষে একটু কষ্টসাধ্য। এলাকার অভিভাবকদের প্রতি নিজ নিজ সন্তানদের খোঁজ খবর ও নজর রাখার আহবান জানিয়ে বলেন,তবে খুব সাবধানে ও গোপনে আমাদের সোর্স কাজ করছে।সুনিদির্ষ্ট তথ্য পেলে অভিযান পরিচালনা করব।

Tags: