ডেস্ক রিপোর্ট ।। নন্দিত সংগীত পরিচালক ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রাতে একটি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ছয় বছর ধরে গৃহবন্দি রয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকে। তারই জের ধরে আততায়ীরা খুন করে তার ছোট ভাই মিরাজকে।
গৃহবন্দি আর ছোট ভাই হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে নীরবে-নিভৃতে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে দিনযাপন করছিলেন তিনি। এরই মধ্যে জানা যায় হার্টের অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তার হার্টে ৮টি ব্লক ধরা পড়েছে। শিগগিরই বাইপাস সার্জারি করানো হবে তার।
নিজের ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নিজেই জানান সেই কথা। ফেসবুকের এ পোস্টটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে তিনি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
বুলবুল লিখেছেন, ‘একটি ঘরে ৬ বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে ৮টা ব্লক ধরা পড়েছে, এবং বাইপাস সার্জারি ছাড়া এর চিকিৎসা সম্ভব না। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের সার্জারি করাতে প্রস্তুত রয়েছি।’
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিসিউতে চারদিন ভর্তি ছিলেন তিনি। এই খবরটা কেউই জানেন না শোবিজের!
রাষ্ট্রের হয়ে সাক্ষী দেয়ার জন্য ভাইকে হারিয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সেই ভাই খুনের বিচার চেয়েছিলেন তিনি রাষ্ট্রের কাছে, পাননি। উল্টো নিজেই হারিয়েছেন স্বাভাবিক জীবন-যাপনের আনন্দ। পুলিশি পাহারায় দিন কাটে তার।
সেই অভিমান নিয়ে তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু বান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই। আমি একাই যথেষ্ট। শুধু অপারেশনের পূর্বে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা এবং কোরআন শরিফ রাখতে চাই।’
ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, ‘তোমরা আমার জন্যে শুধু দোয়া করবে। কোনো ভয় নাই।’