ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে কয়েকটি ভাল ফলাফল ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ বাংলাদেশ সফরের প্রতিক্ষায় রয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব (বহুপাক্ষিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক) সুজাতা মেহতা আজ বিকেলে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে
একথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
সুজাতা মেহতা বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বর্তমানে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশকে সেকেন্ড লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি)-এর আওতায় আরো ১শ’ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার নতুন প্রস্তাব প্রসঙ্গে সুজাতা বলেন, ‘এর অধীনে আমরা আরো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে পারি।’
পররাষ্ট্র সচিব জানান, ভারতের আরো ৩ থেকে ৪টি কোম্পানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে বিনিয়োগ অথবা সরাসরি বিদ্যুৎ ক্রয় করতে পারে। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে একটি ‘সোলার জোট’ গঠন করা যেতে পারে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, এই দুই ঘনিষ্ট প্রতিবেশী দেশ উভয় দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে বিশেষ করে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের জন্য আরো অনেক কিছু করতে পারে।
শেখ হাসিনা দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের অভিন্ন শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে তা বিমোচনে এবং ধনী ও গরীবের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে এক সঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী পানি বণ্টনে আরো উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে যুক্ত করে আরো আঞ্চলিক যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব তার সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক জবাব দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সুজাতা মেহতা চলমান বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়ন অংশিদারিত্ব ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের উপায় খুজে দেখতে রোববার তিনদিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন অংশিদার প্রশাসন) অলক কুমার সিনহা এবং যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ ও মায়ানমার) শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/04/06/207440#sthash.S98xjXo5.dpuf