মুকুট দাস, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) ।। কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৬হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জানা যায়, আজ ২৮মে ২০১৮খ্রি: সোমবার সকাল ১১টায় কিশোরগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইব্রাহীম হোসেনের পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)শ্রাবণী রায়,জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শংকর পাল এবং উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আব্দুর রউফ তালুকদার।
ভ্রম্যমাণ আদালত দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।একটির নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শ্রাবণী রায়। সাথে ছিলেন উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুর রউফ তালুকদার । উপজেলার সদর বাজারের রোকসানা আইসক্রীম ফ্যাক্টরির মালিক মঈন উদ্দিন মহাজনকে ক্যামিকেল রঙ ব্যাবহার এবং একডালা আইসবক্সে মাছ এবং আইসক্রীম রাখার জন্য ৫হাজার টাকা ও মুদি ব্যাবসায়ী গৌতম সরকারকে মেয়াদ উত্তীর্ন চানাচুর বিক্রয়ের উদ্যেশ্যে রাখার জন্য ১হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপরদিকে অন্য গ্রুপে জেলা সহকারি পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন নেতৃত্ব দেন।সাথে ছিলেন,জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শংকর পাল।সদর বাজারে মাছমহলের অন্তর আইসক্রীম ফ্যাক্টরীর মালিক জামাল উদ্দিনকে ক্যামিকেল রঙ ব্যাবহার ও অপরিচ্ছন্ন নোংরা জায়গায় আইসক্রীম রাখার জন্য ১০হাজার টাকা,মায়ের দোয়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মো.আতিক মিয়াকে ৫হাজার এবং মুদি ব্যবসায়ী বিপ্লব পালকে মেয়াদ উত্তীর্ন খাদ্যদ্রব্য মজুদ ও বিক্রি করার জন্য ৫হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন জানান,ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৭,৪২ এবং ৫২ধারা প্রয়োগ করে জরিমানা আদায় শেষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে মেয়াদ উত্তীর্ন মালামাল ধ্বংস করা হয়।