এম নজরুল ইসলাম, বগুড়া ।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯ বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধিন ১৪ দলের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি। সাংসদ নির্বাচিত হবার পর কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েছেন। বগুড়া-৪ আসনের দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, বিদ্যুতায়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ প্রত্যেকটি খাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোয়া তৃনমূলে পৌছে দিয়েছেন। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সমন্বয়ে নিরলসভাবে রাতদিন প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে এবং জনসেবা করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন এই জনপ্রিয় এমপি। নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কার্যক্রম সক্রিয় করার পাশাপাশি তৃনমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে তুলেছেন রেজাউল করিম তানসেন। জনগণের কাছে শেখ হাসিনা সরকার এবং তানসেন এমপির উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে দফায় দফায় তৃনমূলে ছুটছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা জাসদের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, জাসদ নেতা নুরুল ইসলাম সেফা, কাহালুর ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ মন্ডল সহ শতশত নেতাকর্মী। দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট নির্মাণ সহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করায় রেজাউল করিম তানসেন এমপির জনপ্রিয়তা বেড়েছে তিনগুন। তৃনমূলে প্রত্যেকটি পরিবার এবং ব্যাক্তির কাছে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। ২০০৬ এবং ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন তিনি। তৃনমূল থেকে হাঁটি হাঁটি পা-পা করে গড়ে ওঠা ১৪ দলের সক্রিয় নেতা রেজাউল করিম তানসেন। পূর্বেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। এবার উন্নয়নের বিপ্লবের কারণে জনপ্রিয়তার খুঁটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সাংসদ নির্বাচিত হবার আগেও দুই উপজেলায় নিজ তহবিল থেকে মানুষকে শিক্ষা খাতে সহযোগিতা করা, চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসহায় মানুষের জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়া, প্রতিবন্ধিদের সহযোগিতা করা সহ মানুষের সেবায় অসংখ্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন জাতীয় এই নেতা।
শতাধিক সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, রেজাউল করিম তানসেন এমপি এই আসনের জনসাধারণকে যেভাবে বুকে জড়িয়ে নিয়ে তাদের সুখে-দুখে পাশে থাকেন, তা সত্যি অভূতপূর্ব। রাস্তাঘাট সহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি হাসি মুখে অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন। তাই আমরা তাকেই আবারও এমপি হিসেবে পেতে চাই।
নন্দীগ্রাম উপজেলা জাসদের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, বিগতদিনে দলের জন্য তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। ত্যাগ ও ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি আবারও এমপি নির্বাচিত হবেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন।