গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ফাঁসি কার্যকরের সংবাদ শুনেই ঘরে ফিরবে গণজাগরণ মঞ্চ। আজ সোমবার বিকেলে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি একথা বলেন।
এর আগে বিকেলে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘুরে পুনরায় শাহবাগে গিয়ে মিলিত হন। সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালন করে প্রতিবাদ জানায় মঞ্চ।
এ সময় এক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান এইচ সরকার বলেন,
কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় হওয়ার পর পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে। আমরা অপেক্ষা করেছি, অপেক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম মানুষ হত্যা করে গ্রাম শূন্য করেছে যে, সে অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে যাচ্ছে এটা আমাদের জন্য সুখবর। রায় কার্যকর হলে বাংলাদেশের জনগণ ন্যায় বিচার পাবে।
তিনি বলেন, যাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে তাদের আন্দোলন সফল হতে যাচ্ছে এই রায় কার্যকরে মধ্য দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কার্যকর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।
আজ সকাল থেকেই শাহবাগে অবস্থান নেন মঞ্চের কর্মী-সংগঠকেরা। এসময় তাঁরা ফাঁসির রায় বহালের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি চলে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক কর্মসূচি। পরে আপিল বিভাগে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে ফাঁসির রায় বহালের ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো গণজাগরণ মঞ্চ। এসময় তাঁরা একটি আনন্দ মিছিল বের করেন। আন্দোলনকারীরা জানান, রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়াতে তাঁরা খুশি। তবে অবিলম্বে রায় কার্যকর করতে হবে।