লাইফস্টাইল ডেস্কঃ সিগারেটের চেয়েও বিপজ্জনক ধূপের ধোঁয়া! হতে পারে ক্যান্সারের মতো রোগও।
অবাক হচ্ছেন? এটাই সত্যি।
দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মরশুম। পুজো পার্বণে পরিবেশ রক্ষার নিয়ম-নীতি না মেনেই জ্বালানো হচ্ছে দেদার আগরবাতি। বিষাক্ত সেই ধোঁয়া মিশছে বাতাসে। দূষিত, শ্বাস নেওয়ার অযোগ্য হয়ে উঠছে সেই বাতাস। ছড়াচ্ছে নানান মারণ রোগ। বিশেষত শিশু এবং বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বিষাক্ত এই ধূপের ধোঁয়া অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই কারণেই দুর্গাপুজো-সহ উত্সবের মরশুম শুরু হতেই কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক না থাকলেও ধূপের মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা পোড়ালে ক্ষতিকর নানা উপাদান বের হয়। তা এমনই ক্ষতিকারক যে আপনার ডিএন-র গঠনেও পরিবর্তন আনতে পারে। এই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন স্বয়ং বিজ্ঞানীরাই। রং ঝাউয়ের নেতৃত্বে দক্ষিণ চীনের ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি এবং চীনের টোব্যাকো গুয়াংডং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি যৌথভাবে একটি গবেষণা চালায়। আর সেখানেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এশিয়া জুড়েই উৎসবে-পার্বণে ধূপ জ্বালানো একটা প্রথা। তবে শুধু পূজার সময়ই যে তা জ্বালানো হয়, তা নয়। সুগন্ধের জন্যও অনেকেই বাড়িতে সন্ধ্যাবেলা ধূপ জ্বালান। আর সেসময়ই বাতাসের সঙ্গে মিশে গিয়ে তা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে তা মানুষের ফুসফুসেও চলে যায়। আর এরপরই প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, ফুসফুসে ক্যানসার, ব্রেন টিউমার পর্যন্ত হতে পারে।
অনেকেই ঘরে সুগন্ধী নানা ধরনের ধূপ জ্বালান, তা থেকেই বেশি পরিমাণে ক্ষতি হতে পারে মানুষের। কারণ, ধূপের ধোঁয়ায় মিউটাজেনিক্স, জেনোটক্সিন ও সাইটোক্সিনের মতো ক্যানসার সৃষ্টিকারী সমস্ত উপাদান থাকে। সেই কারণে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, সদ্যোজাত শিশুর ঘরে যেন কোনােভাবেই ধূপ জ্বালানো না হয়।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন