muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

বিনোদন

তিনমাস মিডিয়ায় থাকছে না হিরো আলম!

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। হিরো আলম অফিসিয়াল নামের ব্যক্তিগত মিডিয়া (ইউটিউব চ্যানেল) নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া আলোড়ন হিরো আলম। আগামী তিনমাস অন্য কোনো মিডিয়ায় কাজ করবেন না তিনি। আসছে ঈদুল ফিতরে দর্শকদের জন্য তিনটি উপহার রেখেছেন। ‘সখি, আলম একাই এক’শ এবং আখি আছে গলি মার্শর্ট ফিল্ম প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।

এবারের ঈদে নতুন কিছু দেখাতে চান আশরাফুল হোসেন আলম থেকে হয়ে ওঠা হিরো আলম। তবে নিজের মিডিয়ায়! আমাদের বগুড়া ব্যুরো প্রধান এম নজরুল ইসলামের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকেই স্বপ্নের সিঁড়ি হিসেবে দাবি করলেন সোশ্যাল মিডিয়ার আলোড়ন হিরো আলম। ক্যামেরায় ছিলেন এ,এইচ সেলিম ও রাসেল মাহমুদ। শুক্রবার রাত ১১টায় বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।

আলম বলেন, আপনাদের (গণমাধ্যম) কারণেই আমি আজকের হিরো আলম হতে পেরেছে। আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমার মনের তৃপ্তি এবং দর্শকের কথা ভেবেই আমি নিয়মিত কাজ করছি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রতিভা তুলে ধরছে গণমাধ্যম। আসলে গ্রামের অসচ্ছল পরিবারের প্রতিভাগুলো বিনোদন পাড়া নেই। মিডিয়াই পারে কাউকে এগিয়ে নিতে। আমারমত বিভিন্ন গ্রামে অনেক প্রতিভা আছে, অর্থের অভাবে তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটেনি। আমি গ্রামের প্রতিভা নিয়ে কাজ করতে চাই। এজন্য নিজের নামে অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি।

হিরো আলম বলেন, ‘মারছক্কা’ সিনেমা আমার প্রথম চলচিত্র। আমি কখনো কল্পনাও করিনি, আমি চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পাবো। এই সিনেমায় ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা দেখেছি। বর্তমানে ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশে শূটিং-এ ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আমি মনেপ্রাণে অভিনয় এবং শর্ট ফিল্মটা ভালভাবে করে যেতে চাই। দর্শকের কথা ভাবনায় রেখেই ভাল ভাল কাজ করার চেষ্টা করি সবসময়। আমার সকল কাজের প্রেরণাই দর্শক। কারণ দর্শকই কিন্তু আমাকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।

সূত্রমতে, এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক এবং ইউটিউবে ঝড় তুলেছেন একজন। যার আসল নাম আশরাফুল আলম। বাড়ি বগুড়া। সবার কাছে হিরো আলম। তিনি এমন কী করেছেন, যা নিয়ে এত হই- চই। যাকে ঘিরে মেতে উঠেছে মূলধারার গণমাধ্যমও! তিনি নিজের মতো করে মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন, মডেল হয়েছেন। ভাবেননি এর ব্যাকারণ নিয়ে। চিন্তা করেননি কে-কী ভাবলো। পাত্তা দেননি আমাদের পোশাকি আচরণকে। তিনি নিজে গান গেয়েছেন। অন্যের গানে নায়িকাদের নিয়ে নেচেছেন। আবার তৈরি করেছেন নাটকীয়তা। সংলাপ দিয়েছেন, জুড়ে দিয়েছেন গান। তিনি যেন এক রাজকুমার। যা ইচ্ছে হয়েছে, তাই করেছেন। কারোর কাছে হাত পাতেননি। কারোর কাছে ধরনা দেননি। নিজেই বিনির্মাণ করেছেন নিজের স্বপ্ন। আবার তা নিজেই প্রচার করেছেন নিজের ক্যাবল নেটওয়ার্কে, ইউটিউবে, ফেসবুকে।

আর এখন তা কোটি কোটি মানুষ দেখছেন। তিনি তৈরি করেছেন মিউজিক ভিডিও, বানিয়েছেন নাটক। সামনে আছে আরও বড় পরিকল্পনা। হিরো আলম কে ? কোথায় তার আবাস ? এসব প্রশ্নের জবাব এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই পাওয়া যায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পত্রিকা, টেলিভিশন, ইউটিউব চ্যানেল। তার সঙ্গে ছবি তুলে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। হিরো আলমের ‘পরবর্তী সিনেমায়’ কে কোন ভূমিকায় অভিনয় করবেন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানা যাচ্ছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে ‘হিরো আলম’ লিখে সার্চ দিলেই পাওয়া যাচ্ছে তার এবং তাকে নিয়ে নানা কাজের খবর। ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনের সঙ্গে বেড়ে ওঠা সেই আলম পথভ্রষ্ট হননি। মানুষের ক্ষতির কারণ হননি। নিজের ভেতরের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করেছেন। হিরো আলমকে চেনে সীমানার ওপারের মানুষও। তাই তো ওপার থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে মাতিয়ে এলেন কলকাতা। তাকে নিয়ে ওপারের কয়েকটি গণমাধ্যম রীতিমতো কাভার স্টোরি বানিয়ে ফেলেছেন। সম্প্রতি হিরো আলম কলকাতার বর্ধমানে একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন।

 

Tags: