ওমর ফারুক খান জনি, নিজস্ব প্রতিবেদক ।। আবহমান কাল থেকে বাঙালী রমনীদের প্রথম পছন্দের পোশাক শাড়ী। সময়ের বিবর্তনে সেই শাড়িতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। দৃষ্টি নন্দন কারুকাজের বাহারী শাড়িতে মুন্ধ এখন বাঙালী রমনীরাও। পোশাক সচেতন রমনীরা খুঁজে ফেরেন কারুকার্য খচিত রং বেরংয়ের শাড়ি। হরেক রকমের নকশী করা এ রকম শাড়ি তৈরি হচ্ছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায়। ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার দ্বিপেশ্বর, শাহেদল, দাপুনিয়া, রহিমপুর, চরপুমদি, লতিফপুর, গ্রামের কয়েক দুই শতাধিক নারী শ্রমিক নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী শাড়ীতে কারুকাজ নিয়ে। নারীদেরকে সহায়তা করছেন পরিবারের পুরুষসহ সবাই। কিশোরগঞ্জ জেলার চাহিদা মিটিয়ে কারুকাজ করা শাড়ি গুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবারাহ হচ্ছে। সরকারি ভাবে আর্থিক সুযোগ পেলে এ শাড়িসহ কারুকাজ করা মান সম্মত থ্রি পিছ দেশের বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব। সেই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা ও অর্জিত হতে পারে সম্ভবনাময় এ কারুকাজ খাত থেকে।
উপজেলার দ্বিপেশ্বর গ্রামের নারী শ্রমিক সখিনা আক্তার জানান, এ কাজ করে তার মত গ্রামের অনেক নারী শ্রমিক সংসারের আয় বৃদ্ধি করছে। সংসারেও এসেছে স্বচ্ছলতা, তবে কাজের তুলনায় মুজুরি অনেক কম। নারী শ্রমিকরা কারখানার মালিকের কাছে মুজুরি বৃদ্ধির জন্য দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ শাড়ি শিল্প সংস্থার সভাপতি মোঃ আবুল হাসিম সবুজ জানান, শাড়ির কাজ করে এখানকার বেকার সমস্যার সমাধান হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ শাড়ির ও থ্রি পিছের চাহিদা রয়েছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে এ শাড়ি ও থ্রি পিছ দেশের বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক এস এম আসলাম কবীর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আওয়াতা ভুক্ত নারী শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদেরকে সহায়তার প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।