muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

মুক্তকলাম

ফুলবাড়ীয়া দক্ষিণ অঞ্চলে মানুষের ভোগান্তির শেষ কোথায়?

মোঃ উমর ফারুক ।। বাংলাদেশ যখন বিশ্বে রোল মডেল ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বর্তমানে দেশে নানামুখী উন্নয়ন চোখে পড়ার মত কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে একি অবস্থা? ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলা মধ্য অন্যতম ফুলবাড়িয়া উপজেলা। বর্তমানে ফুলবাড়িয়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অন্যতম সমৃদ্ধ একটি উপজেলা এবং ব্যস্ততম নগরী হিসেবে পরিচিত এই ফুলবাড়ীয়া।উপজেলায় বিভিন্ন যোগাযাগ ব্যবস্থা দিনদিন উন্নত হলেও ময়মনসিংহ টু ফুলবাড়িয়া প্রাণকেন্দ্রে ভালুকজান বাজারে মূল সড়ক বিগত পাচঁ বছর ধরে অচল হয়ে আছে,কিন্তু রাস্তাটির সংস্কারে যেন কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। রাস্তা এমন অবস্থা চলাচল পথ বলা যায়না গর্ত গুলো দেখলে মনে হয় যেন ছোট্ট ছোট্ট পুকুর খনন করে রেখেছে। মানুষ নানা দূর্ভোগের মাঝে চলাচল করছে, দক্ষিণ ফুলবাড়িয়ার মানুষের ফুলবাড়িয়া ও ময়মনসিংহ যাওয়ার একমাত্র এ সড়কটি।তাছাড়া,উপজেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন লোকজন চলাচল করে থাকেন এই সড়ক দিয়ে।ময়মনসিংহ বিভাগ হওয়াতে এই সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচলের মাত্রা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তা বেহাল দশা থাকায় প্রতিদিন যানজট যেন মানুষের নিত্য সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত থাকায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর ।শাঁক- সবজি কাচাঁমালের ও বিভিন্ন তরকারি জন্য বিখ্যাত এই উপজেলা। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছে যায় এসব কাঁচামাল। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে থেকে এসব কাঁচামাল ক্রয় করার জন্য স্থানীয় বাজার পাইকার এসে থাকেন। কিন্তু রাস্তা বেহাল অবস্থা বিধায় সেটা অনেকাংশে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।উপজেলা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঠিকমত স্কুল ও কলেজে পৌঁছতে পারছেনা এবং সাধারণ জনগণ ও আমি নিজেও এই ভোগান্তির শিকার। প্রতিদিন যানজট থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে প্রায় আধা কিঃমিঃ রাস্তা হেঁটে যেতে হচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় আধা কি.মি রাস্তা জুড়ে জ্যাম লেগে আছে।রাস্তা মাঝে বড় বড় গর্ত থাকায় গাড়ী চলাচলে ব্যাহত হওয়ার জন্য এই জ্যামের কারণ।

সাধারন মানুষের জানান, বিগত পাচঁ বছর যাবৎ ভালুকজানের এই রাস্তাটি অচল হয়ে আছে। মানুষ কোন ভাবে চলাচল করতে পারছেনা।গাড়ি ঠিকমত চলতে না পারায় মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এতদিন যাবৎ রাস্তাটি অচল কিন্তু সরকার কিংবা পৌরসভা থেকে কোন সংস্কারের উদ্দ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। প্রায় একবছর পূর্বে পাশ্ববর্তী ইউপি চেয়ারম্যান রাস্তা বড় বড় গর্তগুলো ইট দিয়ে সংস্কার করা দিয়েছিল।কিন্তু সেটা বেশিদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার দুপাশে গর্ত গুলোতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।অটো, সিএনজি চলাচলের সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। ফুলবাড়িয়া দক্ষিণে লোকজনের দূভোগ চরম সীমায় পৌঁছে গেছে।মানুষ এ র্দুভোগ থেকে পরিত্রাণ চায়।সরকার ও প্রশাসনের উচিত জন- মানুষের এই র্দুভোগ ও ভোগান্তির কতা চিন্তা করে রাস্তা সংস্কার করা, যাতে মানুষ অতি সহজভাবে চলাচল করতে পারে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের উপজেলা কেন পিছিয়ে থাকবে। এগিয়ে যাক দেশ, এগিয়ে যাক দেশের সকল উপজেলা।

Tags: