প্রতি বছর ১লা শাওয়াল ও ১০ই জিলহজ্জ যথাক্রমে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহের জামাত শুধু দেশের নয় উপমহাদেশের ও বৃহত্তম ঈদ জামাত হিসেবে বিবেচিত। হারমাঈন শরীফাঈনের পর শোলাকিয়া ঈদগাহে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে। মসনদ-ঈ-আলা ঈশাখাঁর ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খানের উত্তরসুরী দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সালে ৪.৩৫ একর ভূমি শোলাকিয়া ঈদগাহকে ওয়াকফ করে দেন। এ মাঠের বর্তমান জমির পরিমান হয়েছে ৬.৬১ একর। অবশ্য অজু করার পুকুর, মাঠ ও প্রস্রাবখানা মিলিয়ে মাঠের সর্বমোট পরিমান প্রায় ৭ একর। মাঠ প্রবেশের মূল সড়কে একটি তোরণ ও একটি দোতলা মিম্বর রয়েছে। ১৮২৮ সনে অনুষ্ঠিত প্রথম বড় জামায়াতের ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমদ। বরকতময় শোলাকিয়া ঈদগাহে যুগে যুগে খ্যাত নামা আলেমগণ ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এবার ইমামতি করবেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব, এনজিও ব্যক্তিত্ব মাওলানা মোঃ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। ২৬৫টি কাতার সম্বলিত শোলাকিয়া ঈদগাহে প্রতি বছর লাখ লাখ মুসুলীর সমাবেশ ঘটে। ঈদের নামাজ মাঠে পড়া সুন্নতে মোয়াক্কাদা এবং যে জামায়াতে মুসুলী যতবেশী হয় ছওয়াব ও তত বেশী হয় ও গোনাহ মাফ হয়। এ বিশ্বাস থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ নামাজ পড়তে আসেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের এ বিশাল জামায়াতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য মুসুলীর সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মুসলমান নামাজে অংশ গ্রহন করেন। জামাত শুরুর মুহুর্তে মাঠের অনুচ্চ প্রাচীরের বাহিরের সড়ক, নদীর পাড় এবং আশপাশ এলাকায় মুসুলীদের কাতার ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অংশ নেয়া মুসুলীর সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে প্রথমবারের মতো নরসিংদী জেলা পুলিশ ড্রোনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেয় গত ২৭ মে। সেদিন নরসিংদী
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ড্রোন দিয়ে পরীক্ষামূলক মহড়ার পর ৬ জুন থেকে নিরবচ্ছিন্ন নজরদারির জন্য তিনটি ড্রোন উড়াচ্ছে।