muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

প্রযুক্তির কল্যাণে দক্ষিণ কোরিয়াকে ১-০ গোলে হারাল সুইডেন

স্পোর্টস রিপোর্ট ।। গোললাইন টেকনোলজি বা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএআর) রেফারির কল্যাণে রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এশিয়ান দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিলো ইউরোপের দেশ সুইডেন। নিঝনি নভগোরদ স্টেডিয়ামে তুমুল লড়াই শেষে সুইডেনের জয় এলো পেনাল্টি থেকে করা একমাত্র গোলেই।

তুলনামূলক অনেক বেশি শক্তিশালী সুইডেন। বাছাই পর্বের প্লে-অফে যারা ইতালির মতো চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দুই বলের ব্যবধান অনেক। সুইডেনের অবস্থান ২৩ নম্বরে। আর দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান ৬১ নম্বরে। কিন্তু খেলার মাঠে সুইডেনের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলেও প্রথমার্ধে কোনো দল গোল আদায় করতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এসে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়ে পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল সুইডিসরা। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নিয়ে এই পেনাল্টি পায় এবং আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্টের শটে ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সুইডেন।

ম্যাচের শুরু থেকেই সুইডেনের আক্রমণভাগ দারুণ চাপ সৃষ্টি করে দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণে। তবে খেলার ২০ মিনিটে প্রথম কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল সুইডেন। কোরিয়ান ডিফেন্ডাররা তাদের লাইন থেকে সঠিকভাবে বলটি ক্লিয়ার করতে পারেনি। যে কারণে বলটি পেয়ে যান মার্কাস বার্গ।

একেবারে গোলের দারুণ সুযোগ। সামনে শুধু গোলরক্ষক। আলতো টোকায় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বলটি জড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বার্গ মেরে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক জো হিউন উ’র পায়ে। নিশ্চিত গোল থেকে বেঁচে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। বঞ্চিত হয় সুইডেন।

এক মিনিট পর আবারও গোলের সুযোগ। এবার সুযোগটা মিস করেন পন্টাস জ্যানসন। দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন তিনি। লুডউইগ অগাস্টিনসনের পাস থেকে বল পেয়ে হেড নিলেও বলটি চলে যায় ডান পাশ দিয়ে বাইরে। ২৯ মিনিটে আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে সুইডেন। এবারও মার্কাস বার্গ। বক্সের মধ্যে বল পেলেও তিনি গোল করতে ব্যর্থ হলেন। ফলে আবারও হতাশায় পুড়তে হলো সুইডিশ দর্শকদের।

৪৩ মিনিটে আবারও সেই মার্কাস বার্গ। বাম পাশ গোলপোস্টের ৬ গজ সামনে থেকে শট নেন বার্গ। কিন্তু এবারও তার শট হলো লক্ষ্যভ্রস্ট। তার আগে ৩৭ মিনিটের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার লি জায়ে সুং দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বক্সের মধ্যেই সুইডিশ ডিফেন্ডারদের বাধার সম্মুখীন হন তিনি।

৬১ মিনিটেই ভিক্টর ক্লাসেন হং হি চ্যানকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন। পরের মিনিটেই তাকে ফাউল করে বসেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিম কিন উ। বক্সের ভেতর ফাউল। রেফারি বাঁশি বাজাতে দ্বিধা করলে সুইডেনই আবেদন করে বসে ফাউলের। ফলে, রেফারি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেন, এটি সত্যিই পেনাল্টি দেয়ার মতো ফাউল হয়েছে কি-না।

শেষ ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি সিদ্ধান্ত দিলেন, এটি পেনাল্টি। রেফারিও বাঁজালেন পেনাল্টির বাঁশি। আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্ট নিলেন স্পট কিক এবং দক্ষিণ কোরিয়ান গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জড়িয়ে দিলেন তাদের জালে। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো সুইডেন। ২০০২ সালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হেনরিক লারসনের পর এই প্রথ, বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন কোনো সুইডিশ ফুটবলার।

Tags: