উল্লেখ্য যে, কিছুদিন পুর্বে ভোরের আলো সাহিত্য আসরের লেখক মাহবুবুর রহমান ওরফে জামাল উদ্দিন ওরফে অনন্য ইয়াসিনসহ পুরো ভোরের আলো সাহিত্য আসরকে দেখে নেবে বলে হুমকী প্রদান করেছে। সেই বিধায় আজকের এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ হুমকী নতুন নয়। বিগত দিনে আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ কর্মী হাবিবুর রহমান হাবিব (দক্ষিণ চাঁনপুর নিবাসী)কে এলাকার ৭১”র শান্তি কমিটির নেতা মৃত ডা. আ. আজিজ এর স্বাধীনতাবিরোধী প্রজন্ম পল্লী ডাক্তার শাহজাহান (আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী) ও তার দলবল নিয়ে মারধর করে। হাবিবকে মারধর করার কারণ ছিল মৃত আ. আজিজকে (পল্লী ডক্তার শাহজাহানের পিতা) শান্তি কমিটির নেতা তথা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার বলা!
এভাবে হাবিবকে মেরে স্বাধীনতাবিরোধী শাহজাহানদের সাহস এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, রাজাকারবিরোধী লেখক জামাল উদ্দিনকে মোবাইলে হুমকী প্রদান করে। তৎসঙ্গে গোটা ভোরের আলো সাহিত্য আসরকে দেখে নেয়ারও হুমকী দেয়। এতে ফুঁসে ওঠে এলাকার জনগণ। তার সাথে ভোরের আলো সাহিত্য আসরও নেমেছে মাঠে। জামাল অনেক আগে থেকেই স্থানীয় রাজাকার আলবদর আলশামসদের ৭১’র নৃশংস হত্যাকান্ডের কথা লিখে আসছে। এটাই তার অপরাধ।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হাত্রাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আসগর খোকন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী রেজাউল হাবীব রেজা। বক্তব্য রাখেন রাজাকারবিরোধী লেখক জামাল উদ্দিন ওরফে অনন্য ইয়াসিন (যাকে হুমকী দেয়া হয়েছে),পিটুয়া বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের যুগ্মসম্পাদক ও যুবলীগ নেতা মোঃ জিল্লুর রহমান,১নং কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের সুশাসনের জন্য নাগরিক এর দায়িত্বশীল ডা. মাজহারুল ইসলাম,ভোরের আলো সাহিত্য আসরের পরিচালক সাংবাদিক ও বহুগ্রন্থের প্রণেতা আমিনুল হক সাদী,ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীরেজা সুমন,জেলা কৃষকলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডা. জহির উদ্দিন ছফি,১৯৭১ সনের মজুমদারপাড়া রাজাকার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শেখ সাহেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামছুদ্দিন,প্রতিরোধ কমিটির সদস্য শ্রী ললিত চন্দ্র বিশ্বাস,শ্রী বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, মোঃ শুনো মিয়া,ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিপন মিয়া,মোঃ ইকরাম। উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মোঃ বাচ্চুমিয়াসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম।
মানববন্ধনে লেখক জামাল উদ্দিন ও ভোরের আলো সাহিত্য আসরকে হুমকী প্রদানকারী শান্তি কমিটির নেতা মৃত আঃ আজিজের ভাতিজা ও স্বাধীনতাবিরোধী শাহজাহানের চাচাতো ভাই মানিক মিয়ার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কমিটি থেকে বহিস্কারের দাবী জানানো হয়। তৎসঙ্গে ১৯৭১সনের নীলগঞ্জসহ আশপাশ এলাকার সকল হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে যুদ্ধপরাধীদের বিচার ও শহীদগণকে সরকারী স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে গেজেটভুক্ত করার দাবী করা হয়।