অন্যদিকে সুইডেন তাদের শেষ ম্যাচে মেক্সিকোকে হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। তাতে জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলে শেষ ষোলোতে স্থান করে নিয়েছে সুইডেন। তারা গোল ব্যবধানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে বিদায় নিল জার্মানি।
বিশ্বকাপের ৮০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম জার্মানি কিংবা পশ্চিম জার্মানি গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিল। ১৯৩৮ সালে সবশেষ তারা এই লজ্জার মুখে পড়েছিল। এবার শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার মিশনে এসে নকআউট পর্বেই যেতে পারল না জোয়াকিম লো এর শিষ্যরা।
এ নিয়ে টানা তিন বিশ্বকাপ থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা চোখের জলে বিদায় নিল। ইতালি ২০০৬ সালে শিরোপা জিতেছিল। ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। অন্যদিকে ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেন শিরোপা জিতেছিল। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হল। আর এবার ২০১৮ তে এসে বিদায় নিল তারা। এ যেন ভাগ্য বিধাতার লেখা করুণ চিত্রনাট্য।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মুহূর্মুহ আক্রমণ শানিয়েও জালের নাগাল পায়নি জার্মানি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও জালের নাগাল পায়নি তারা। উল্টো ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+২) দক্ষিণ কোরিয়ার কিং ইয়ং গোউন গোল করে পিছিয়ে দেন জার্মানিকে। সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরের সহায়তায় গোল পায় দক্ষিণ কোরিয়া।
গোল শোধ দিতে মরিয়া হয়ে খেলা জার্মানি পরের গোলটি খায় ৯০+৬ মিনিটে। এ সময় গোল শোধ দিতে জার্মানির গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারও চলে আসেন কোরিয়ার ডি বক্সের সামনে। দক্ষিণ কোরিয়ার একজন খেলোয়াড় সেখান থেকে লম্বা পাসে বল বাড়িয়ে দেন জার্মানির ডি বক্সের দিকে। সন হেউং-মিন দৌড়ে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন। তারপর ফাঁকা পোস্টে জড়িয়ে দিয়ে আসেন। এই গোলটার জন্যও ভিএআরের আশ্রয় নেওয়া হয়। কিন্তু বাতিল করা যায়নি গোলটি। তাতে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় জার্মানিকে।
এদিকে মেক্সিকোর বিপক্ষে সুইডেন প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে লুউইগ আগুস্তিসন ও ৬২ মিনিটে আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ট গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ৭৪ মিনিটে মেক্সিকোর এডসন আলভারেজ আত্মঘাতি গোল করে সুইডেনের ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন। তাতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে সুইডিশরা।