এবারের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের অংশীদার (স্বেচ্ছাসেবক) হয়ে রাশিয়ার মাঠে রয়েছেন কিশোরগঞ্জের মো. কবির হোসেন। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া দুইজন সেচ্ছাসেবকের মধ্যে একজন জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার কোনাপাড়ার এ তরুণ। কবির মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী। রাউন্ড অফ সিক্সটিনের আজকের (৩০ জুন) ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচে সেচ্ছাসেবী হিসেবে মাঠে থাকবেন তিনি।
কবির রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে প্রেস কনফারেন্স, মিডিয়া মিক্সড জোন, মাঠের পাশে ফটোগ্রাফারদের লোকেশন সিলেক্ট করার দায়িত্বে রয়েছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপে সেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করার কথা জানিয়ে কবির হোসেন মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে প্রায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ১৩ হাজারই রাশিয়ার তরুণেরা। বাকি এক হাজারেরও কম স্বেচ্ছাসেবক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। এক হাজার জনের একজন হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বাংলাদেশ থেকে আমি ছাড়া আরেকজন রয়েছেন।
এই এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ফিফা বেছে নেয় পাঁচ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রতি বিশ্বকাপ শুরুর এক বছর আগে ফিফা স্বেচ্ছাসেবক বাছাই-প্রক্রিয়া শুরু করে। অনলাইনে ফিফার (www.fifa.com) ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত সময়ে আবেদন করতে হয়। সেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য ২০১৬ সালে আমি ফিফার আবেদন ফরম পূরণ করি। ওই বছরের প্রথম দিকেই অনলাইন একটা ইংরেজি পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষায় উর্ত্তীন হওয়ার পর ২০১৭ সালের প্রথম দিকে মস্কো থেকে ইন্টারভিও নেওয়া হয়। তারপর আবেদনপত্র সেচ্ছাসেবক সেন্টার থেকে কাজান আরিনা স্টেডিয়াম এর ফাংশনাল ম্যানেজারের নিকট এ পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ফাংশনাল ম্যানেজার আবার একটা ইন্টারভিই নেয়। সর্বমোট প্রায় ২ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে এক হাজারের মত ইন্টারন্যাশনাল সেচ্ছাসেবক উর্ত্তীন হয়। বর্তমানে কাজান আরিনা স্টেডিয়াম এ দায়িত্ব পালন করছি।